আন্তর্জাতিক জলসীমায় অ্যামেরিকার যুদ্ধজাহাজের কাছাকাছি ভেনেজুয়েলার যুদ্ধবিমান দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে শনিবার এ নির্দেশের কথা জানান তিনি।
ভেনেজুয়েলার মাটিতে বসে অ্যামেরিকার জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ট্রাম্প।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা জোরদারে একটি বিশেষ মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
ভেনেজুয়েলাসহ লাতিন অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশের মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে পুয়ের্তো রিকোর বিমানঘাঁটিতে অন্তত ১০টি এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়নের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সিএনএন জানায়, আন্তর্জাতিক জলসীমায় অ্যামেরিকার যুদ্ধজাহাজের কাছাকাছি ভেনেজুয়েলার যুদ্ধবিমান দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ভেনেজুয়েলা আবারও অ্যামেরিকার জাহাজের কাছাকাছি যুদ্ধবিমান পাঠালে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়বে।
সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার সরকার পরিবর্তন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যে অভিযোগ করেছেন, তা উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে মাদুরো অভিনব কায়দায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
ভেনেজুয়েলা বা লাতিন অ্যামেরিকার মাটিতে বসে অ্যামেরিকার জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ট্রাম্প।
এর আগে অ্যামেরিকার জাহাজের ওপর দিয়ে ভেনেজুয়েলার অন্তত দুইটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উড়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে পেন্টাগন।
রয়টার্স জানায়, এক বিবৃতিতে কারাকাসের এমন উসকানিমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছে পেন্টাগন।
তারা জানিয়েছে, অ্যামেরিকার যুদ্ধজাহাজ জেসন ডানহামের ওপর দিয়ে ভেনেজুয়েলার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো উড়ে গেছে। বিষয়টিকে মাদকবিরোধী সন্ত্রাস দমন অভিযানে হস্তক্ষেপের চেষ্টা বলেও আখ্যায়িত করেছে পেন্টাগন।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আক্রমণ চালানো হলে জাতীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সংগঠিত সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
দেশটির প্রতিরক্ষা জোরদারে একটি বিশেষ মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
মাদুরো জানান, যেকোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলায় কারাকাস প্রস্তুত।
এদিকে ভেনেজুয়েলার ভয়ানক মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানকে সঠিক ও জরুরি পদক্ষেপ বলে প্রশংসা করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর জনি আর্মস্ট।
ট্রাম্পের মাদকবিরোধী অভিযানে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ার।
অ্যামেরিকার জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট আয়েশ করছেন অভিযোগ করে সিনেটর আর্নস্ট বলেন, মাদক পাচারকারী সন্ত্রাসীদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক পাচারের মাধ্যমে চীনসহ যেসব দেশ অ্যামেরিকার জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।