তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে সঠিক ও বৈধ বলে দাবি করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে রবিবার ট্রাম্প বলেন, অ্যামেরিকার ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট (আইএনএ) ২১২(এফ) ধারা তাকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, আইন তাকে অনুমতি দিয়েছে বলেই তিনি এই নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘যদি কোনো সময় প্রেসিডেন্ট মনে করেন যে কোনো ব্যক্তি বা কোনো শ্রেণির বিদেশিকে অ্যামেরিকায় ঢুকতে দিলে দেশের স্বার্থের ক্ষতি হবে তাহলে তিনি ঘোষণা জারি করে যতদিন প্রয়োজন মনে করেন ততদিন সেই বিদেশিদের অ্যামেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করে দিতে পারেন।’
ট্রাম্প বলেন, এমনকি প্রেসিডেন্ট চাইলে অভিবাসী বা অভিবাসী নয় এমন যে কোনো শ্রেণির বিদেশির প্রবেশে নিজের মতো করে নিয়ম-কানুন বা সীমাবদ্ধতা আরোপও করতে পারেন।
যদিও জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসসহ বিভিন্ন সংস্থা অ্যামেরিকান প্রশাসনকে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প তার অবস্থান দ্বিগুণ অটল রেখেছেন।
হোয়াইট হাউস এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এখনো স্পষ্ট করেনি যে এই নতুন অভিবাসন বিধিনিষেধ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে। তবুও প্রশাসন ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ শুরু করেছে।
স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে আফগান পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা প্রদানও স্থগিত করেছে। এই পদক্ষেপকে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। রুবিও বলেন, ‘আমাদের জাতি এবং জনগণকে রক্ষা করার চেয়ে অ্যামেরিকার আর কোনও অগ্রাধিকার নেই।’
২০২৪ সালের শেষে ইউএসসিআইএস এর ১ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি ইতিবাচক আশ্রয় আবেদন মুলতুবি ছিল। নতুন স্থগিতাদেশের ফলে এই বিলম্ব আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার হোয়াইট হাউসের কাছে গুলি চালানোর ঘটনায় দুই ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য গুরুতর আহত হন। পরে এক সেনা মারা যান।
ওয়াশিংটন ডিসির মার্কিন অ্যাটর্নি জিনাইন পিরো জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারী রহমানউল্লাহ লাকানওয়াল একজন আফগান নাগরিক। তার বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হতে পারে, এবং আরও অভিযোগ আনার সম্ভাবনা রয়েছে।