ট্রাম্পের মামলার শুনানির সময় আদালতের বাইরে শরীরে আগুন দিলেন যুবকবৃহস্পতিবার ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে এভাবে প্ল্যা-কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ম্যাক্সওয়েল আজারেলো। এক পর্যায় নিজ দেহে অগ্নিসংযোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটানের আদালতে যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘হাশ-মানি’ মামলার বিচার চলছিল, তখন সেই আদালতের বাইরে চত্বরে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন এক যুবক। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার কিছু পর এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ম্যানহাটানের একটি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটি চিকিৎসাধীন আছেন ওই যুবক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিজ দেহে অগ্নিসংযোগকারী ওই যুবকের নাম ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লো বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ওই যুবক ফ্লোরিডার বাসিন্দা, তবে এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে আসেন তিনি। আগুনের ঘটনায় হত-বিহ্বল আজারেল্লোর পরিবার। কারণ, ফ্লোরিডায় বসবাসরত পরিবারের বাকি সদস্যদের না জানিয়েই নিউইয়র্কে আসেন আজারেল্লো। এছাড়া তার পূর্ব অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রধান জেফ্রি ম্যাডরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে একটি ব্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডামূলক বই-প্ল্যাকার্ড নিয়ে আদালত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন ওই যুবক। দুপুর ১টার কিছু সময় পর আদালত চত্বরের বাইরে ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থের বোতল বের করে নিজ গায়ে ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
ম্যাডরে জানান, এসময় কর্তব্যরত পুলিশেরা দ্রুত অগ্নি নির্বাপক দিয়ে তার শরীরে লাগা আগুন নেভায় ও তাকে হাসপাতালে পাঠায়। ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লো নামের ওই যুবকের ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থ, কয়েকটি বই ও প্রচারপত্র জব্দ করা হয়েছে।
‘ট্রাম্প এবং বাইডেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছেন’ - এমন নানান বক্তব্য লেখা রয়েছে এসব বই-প্রচারপত্রে।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজারেল্লোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি এবং তার এভাবে আত্মহননের চেষ্টার কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক পুলিশপ্রধান।
এদিকে, আজারেল্লোর আগুন দেওয়ার ঘটনায় ট্রাম্পের মামলার শুনানি কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখা হয়। পরে বিকেলের দিকে ফের শুনানি কার্যক্রম শুরু করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, মার্কিন পর্ন অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটিই ‘হাশ-মানি’ মামলা হিসেবে পরিচিত।