যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ‘টিকটক’কে বিক্রি করে দিতে অথবা দেশটিতে নিষিদ্ধ করতে সিনেটে পাস হওয়া একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে টিকটকের চীনা মালিক ‘বাইট ড্যান্স’কে আগামী নয় মাসের মধ্যে প্লাটফর্মটি থেকে মালিকানা প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে। সেটি না করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে টিকটককে। খবর : বিবিসির
টিকটক তার ইউজার ডেটা চীন সরকারের সঙ্গে শেয়ার করবে এম শঙ্কা থেকেই মূলত এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে টিকটক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
টিকটক কর্তৃপক্ষ এই আইনকে অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, তারা আদালতে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করবে। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা মনে করছে এ বিষয়ে আইন তাদের পক্ষে থাকবে এবং তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।
বিবৃতিতে টিকটক বলে, ‘সত্য বিষয়টি হলো আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ডেটা নিরাপদে সংরক্ষণ করতে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছি। আর আমাদের প্লাটফর্মটি বাইরের প্রভাব মুক্ত। এটি বন্ধ বা নিষিদ্ধ করা হলে ৭০ লাখ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ১৭ কোটি আমেরিকান নীরব হয়ে যাবে।’
চারটি বিলের প্যাকেজ আকারে এই বিলটি পাস হয়। যার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহযোগিতার পথ তৈরি করা।
বিলটি সিনেটে ব্যাপক সমর্থন নিয়ে পাস হয়। বিলের পক্ষে ভোট দেন ৭৯ জন সিনেটর আর বিপক্ষে ভোট দেন ১৮ জন। এদিকে টিকটক জানিয়েছে, বাইট ড্যান্স চীন বা কোনো দেশের এজেন্ট নয়। বাইট ড্যান্স গ্লেবাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্মের ৬০ শতাংশ মালিকানার বিষয়টি তুলে ধরে বলেছে, এটি চীনা কোনো প্রতিষ্ঠান নয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিলটি একাধিক বাধার মুখে পড়তে পারে। আইনি লড়াইয়ে এই প্লাটফর্মটি বন্ধ ঘোষণা করতে বা ব্লক করে দিতে কয়েক বছরও লাগতে পারে। পাশাপাশি যুব বয়সী মার্কিন নাগরিকদের কাছে এর জনপ্রিয়তার বিষয়টি নিয়েও তৈরি হতে পারে সমস্যা।