সর্বত্রই প্রশ্ন ওঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে 

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র বিক্ষোভে ইসরায়েলপন্থীদের আতশবাজি ও ককটেল হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০২ মে ২০২৪, ১২:১৪

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলপন্থীরা।  
স্থানীয় সময়  মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) রাতে মুখোশধারী হামলাকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করে।
আক্রমণকারীরা আতশবাজি ও ককটেল ছোড়ে অস্থায়ী ব্যারিকেড ভেদ করে। এই সময় হামলাকারীরা পিপার স্প্রে ব্যবহার করে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কেউই গুরুতর আহত নন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে এই হামলায় সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। ফিলিস্তিনিপন্থী ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ আক্রান্ত হওয়ার সময় তারা পুলিশি সাহায্য চেয়েও পাননি।  
ইউসি ডাইভেস্ট অ্যাট এলএ নামের আন্দোলনকারীদের একটি গ্রুপ এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে লিখেছে, আমরা তাদের সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে আইন প্রয়োগকারীরা কেবল লনের কিনারায় দাঁড়িয়েছিল এবং তারা সামান্য নড়াচড়া করতেও অস্বীকার করেছিল।
ছাত্রদের দ্বারা প্রকাশিত ডেইলি ব্রুইন নামের ক্যাম্পাস ভিত্তিক একটি পত্রিকা লিখছে, মধ্যরাত পর্যন্ত সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের মধ্যস্থতার কোনো চেষ্টা ছিল না। খবর বিবিসি
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের কার্যালয় লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সহিংসতার বিষয়ে পুলিশের এই আচরণের  সমালোচনা করেছে। গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের মুখপাত্র জানিয়েছে, পুলিশের এই ‘সীমিত এবং বিলম্বিত’ হস্তক্ষেপ ‘অগ্রহণযোগ্য’।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস নামের একটি স্থানীয় পত্রিকাকে হামলার সময় নিষ্ক্রীয়াতার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন ক্যাম্পাসে ওই হামলা থামানোর মত যথেষ্ট পুলিশ সদস্য ওই সময় ছিল না, ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে এবং লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ডাকা হলেও তারা পৌঁছাতে ৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।  
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই  অবস্থান করছিলেন তারা।