এখন পর্যন্ত ইসরাইলের অস্ত্র ও গোলাবারুদের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল যাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে তাই প্রতিবছর ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেয় দেশটি। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে দৃঢ় সমর্থন আছে যুক্তরাষ্ট্রের। তারপরও গাজাবাসীকে সুরক্ষা দিতে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে না পারা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রথমবারের মতো ইসরাইলে বোমার চালান পাঠানো পিছিয়ে দিল। খবর : বিবিসির
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে নিশ্চিত করেই জানিয়েছেন, ২ হাজার পাউন্ডের কয়েক হাজার বোমার চালান পাঠানো স্থগিত করা হয়েছে। ইসরাইলের কাছে অন্যান্য অস্ত্র বিক্রির বিষয়টিও পুনরায় ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইসরাইলের ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাবটা এখন কেন খাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? প্রথম কারণ হলো- যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশেরই আশঙ্কা, রাফায় ইসরাইলের সর্বাত্মক অভিযান প্রচুর মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটবে এবং মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, যে বোমাগুলোর চালান তারা পিছিয়ে দিয়েছেন, সেগুলো রাফা অভিযানে ব্যবহার হতে পারত। আর তেমন হলে সেখানকার শহুরে এলাকায় তা বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনত। যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইসরাইল রাফায় হামলা করুক। আর সে বার্তাই তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার এটি আরেকটি পথ। যুক্তরাষ্ট্র কতটা উদ্বিগ্ন সেটি ইসরাইলকে দেখিয়ে দেওয়ারই বার্তা এটি- ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে হামাসের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সমর্থনের জন্য ইসরাইলি মন্ত্রিসভার ওপর চাপ বজায় রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। মিশরের কায়রোয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসরাইল এ আলোচনায় কোনো আপসরফায় পৌঁছতে রাজি না হলে তাদের এর চড়া মূল্য দেওয়াতে চাইতে পারে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে তৃতীয় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলকে সমর্থনের রাশ টেনে ধরতে ডেমোক্র্যাটিক সমর্থকদের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে আছেন।