মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বর দুটি বিতর্কে মুখোমুখি হতে সম্মত হয়েছেন, যা হোয়াইট হাউসের দৌড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ বড় বাজির মুহূর্ত উপস্থাপন করেছে।
সিএনএন, ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকভারির একটি বিভাগ বলেছে যে, প্রথম বিতর্কটি তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে কোনও শ্রোতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে এবং অ্যাঙ্কর জ্যাক ট্যাপার এবং ডানা ব্যাশ পরিচালনা করবেন।
গণমাধ্যম এবিসি থেকেও আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ১০ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বিতর্ক। বিতর্ক নিয়ে বাইডেন এবং ট্রাম্প ভিন্ন ভিন্ন শর্ত দিয়েছেন। ট্রাম্প চান, বড় হলরুমে বিতর্ক হোক যাতে তা অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়। তিনি দু’টির বেশি বিতর্ক করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে বাইডেন চান কড়া নিয়মবিধির মধ্য দিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান করতে, যাতে বিতর্কের মাঝে বাধাবিঘ্ন কম ঘটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড়ের স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এক্সে নতুন এক পোস্টে বলেছেন, ২০ জুনের আগে তিনি সিএনএন আয়োজিত প্রথম বিতর্কে অংশ নেওয়ার সব শর্ত পূরণ করবেন। তবে তিনি বিতর্কে যোগ্য বিবেচিত হবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। বাইডেন ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। জানিয়েছেন, ‘আপনারা যখন বলবেন, যেখানে খুশি, যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায়।’
এদিকে ট্রাম্প বাইডেনকে ‘সবচেয়ে খারাপ তার্কিক’ বলে তোপ দেগে বলেছেন, ‘জুন ও সেপ্টেম্বরে বিতর্কে বাইডেনকে দেখে নেব।’
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও জনগণের অনেকের পর্যবেক্ষণ, বর্তমান সরকারের ভুলেই ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি।
বাইডেনের সহযোগীরা মনে করেন এ দুই বিতর্কের মাধ্যমে গর্ভপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান প্রকাশ হয়ে গেলে রাজনৈতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের সহযোগীরা মনে করেন, ৮১ বছর বয়সী বাইডেন মুখ ফস্কে যেসব ভুল কথা বলে ফেলেন তা তার বয়স নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ আরও বাড়াবে। সূত্র: রয়টার্স