নিরাপত্তা জোরদারে বাড়তি লাইফগার্ড

খুলে দেওয়া হল নিউইর্কের বিচ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৭ মে ২০২৪, ১৩:৫২

চলতি সপ্তাহ থেকে নিউইয়র্কে গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। গরমের এই সময় শিশুসহ সকলের স্বস্তির কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হচ্ছে নিউইয়র্কের বিচগুলো। সেই সাথে বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত লাইফগার্ড। যা শিশুসহ ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২৫ মে শনিবার নিউইয়র্ক সিটির ৮টি পাবলিক সৈকত সাঁতারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে অন্য বিচগুলোও। লাইফগার্ড কর্মী সংকটে অনেক বিচ আংশিক বন্ধ থাকলেও নতুন করে সুখবর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাড়তি সুযোগ সুবিধায় লাইফগার্ড নিয়োগের ঘোষণা স্বস্তি দিচ্ছে নগরবাসীকে।
শুক্রবার মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অফ পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশনার স্যু ডনোগু নতুন লাইফগার্ড নিয়োগের ঘোষণা দেন। তারা বলেন, লাইফগার্ডদের বেতন ঘন্টায় ২২ ডলারে উন্নীত করা হবে। এছাড়া ফিরে আসা লাইফগার্ডদের জন্য প্রতি বছর হাজার ডলার বোনাসও থাকবে।
মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, "আমাদের সৈকত এবং পুল হলো নিউইয়র্ক সিটির কিছু রত্ন। এগুলো আমাদের বাচ্চাদের এবং পরিবারের জন্য শীতল হওয়ার, সাঁতার শেখার এবং গ্রীষ্ম উপভোগ করার জন্য দুর্দান্ত জায়গা। আমাদের পুল এবং সমুদ্র সৈকতে জননিরাপত্তার জন্য আমরা এই গ্রীষ্মের আরও লাইফগার্ড নিয়োগ করতে সক্ষম হবো। আগামী গ্রীষ্মের জন্য পাইপ লাইনে বেশি লাইফগার্ড পাবো।
কর্মকর্তারা বলছেন, জুনের শেষ নাগাদ ৯শ জন লাইফগার্ডের কর্মী থাকবে। তবে সৈকত এবং পুলগুলো সম্পূর্ণরূপে কর্মীদের জন্য প্রায় ১৫ শতাধিক লাইফগার্ড প্রয়োজন। এদিকে গ্রীষ্ম মৌসুমে হাঙর দেখা নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করে জনমনে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন লাইফগার্ড নিয়োগ গ্রীষ্মে বিচ ভ্রমণে সাধারণ মানুষদের আরও আগ্রহী করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গভর্নর ক্যাথি হোকুল বলেন, গত বছর আমাদের সমুদ্র সৈকতে ৭টি হাঙ্গর-সম্পর্কিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা এবার সতর্কতা আরও বাড়িয়েছি। সমুদ্র সৈকতে হাঙরের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে আরও ড্রোন যুক্ত হচ্ছে। যেগুলো শব্দহীন ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
চলতি সপ্তাহ থেকে নিউইয়র্কে গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। গরমের এই সময় শিশুসহ সকলের স্বস্তির কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হচ্ছে নিউইয়র্কের বিচগুলো। সেই সাথে বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত লাইফগার্ড। যা শিশুসহ ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।