বাইডেন প্রশাসন আমেরিকান নাগরিকদের আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্ট স্বামী-স্ত্রীদের ডিপোর্ট না করাসহ আরও কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই ক্যাটাগরির আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজের সুবিধা দান করতে ওয়ার্ক পারমিট ও সোস্যাল সিকিউরিটি কার্ড প্রদান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে অবহিত বাইডেন প্রশাসনের তিনজন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও হয়নি । তবে নীতিগতভাবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে।
এ ধরনের যেকোনো কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আনডকুমেন্টেড স্বামী-স্ত্রী সহজে আমেরিকান নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ পান, যারা তাদের স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে কোনো আমেরিকান নাগরিককে বেছে নিয়েছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ইমিগ্রেশন নীতিতে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা পূরণ করার পদক্ষেপ গ্রহণের পর্যায়ে ইমিগ্রেশন বিষয়ে এ ধরনের ইস্যু নিস্পত্তি করার উদ্যোগ হিসেবেই এই প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য উঠে এসেছে।
গত সপ্তাহে, তিনি তার নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যদের সমালোচনার শিকার হন এবং সীমান্তপথে অবৈধভাবে বিদেশিদের অনুপ্রবেশে বাধা দিতে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা কঠোর করার জন্য চাপের মুখে পড়েন। এর অংশ হিসাবে যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন সেইসব আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের আংশিকভাবে বৈধতা প্রদানের জন্য নতুন পদক্ষেপের কথা বিবেচিত হচ্ছে। এ পদক্ষেপ বাইডেনকে কিছু গুরুতর প্রতিরোধের মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। আগামী নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ল্যাটিনো ভোটারদের তুষ্ট করার লক্ষ্যেই যে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা অনেকটাই স্পষ্ট।
যে কর্মসূচিটি বিবেচনাধীন রয়েছে সেটি “প্যারোল ইন প্লেস” নামে পরিচিত, যা অতীতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের মতো অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডিপোর্টেশন থেকে নিরাপত্তা প্রদান এবং বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টরা গ্রিন কার্ড এবং আমেরিকান নাগরিকত্বের লাভেরও সুযোগ পায়।