নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তোড়জোড়ের অংশ হিসেবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) হাউস রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে রিপাবলিকানদের মধ্যকার বিভাজন কমানো সম্ভব হয়েছে। ওই দিন সকালে রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস এবং কংগ্রেস চেম্বারে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে ট্রাম্প তার ‘ট্রিফেক্টা’ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, নিজেদের মেয়াদের প্রথম দুই বছর বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জোট কেবিনেট গঠন করতে হয়। ফলে যেকোনো আইন পাসের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের এক সদস্য জানান, রিপাবলিকানদের বৈঠকে নীতিনির্ধারণী বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারদের করছাড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রিপাবলিকানরা কীভাবে এই নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের লক্ষ্যগুলো তুলে ধরতে পারে, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়।
এই মুহূর্তে সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা ৫১-৪৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বাইডেনকে পরাজিত করে আসন বৃদ্ধির বিষয়টি তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। এ বিষয়ে রিপাবলিকানরা বেশ আশাবাদীও। ধারণা করা হচ্ছে, কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে ট্রাম্পের শীতল সম্পর্কের অবসান ঘটাতেই এই বৈঠক আয়োজন করা হয়। বিশেষত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ট্রাম্প নির্বাচনে অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ আনেন। রিপাবলিকানদের উদারপন্থি রাজনীতিক সুসান কলিন্স, লিসা মুরকোওস্কি এবং মিট রুমি এই বৈঠকে অংশ নেননি। বৈঠকে ট্রাম্প রিপাবলিকানদের নির্বাচনের আগে একত্রিত থাকার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে রয়টার্স ও ইপসো এক জরিপ চালিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেনের তুলনায় দুই শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। ৯৩০ জন ভোটার এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ৫১ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান এবং ৪৯ শতাংশ চান বাইডেনকে। যদিও এই জরিপের মাধ্যমে দুই প্রার্থীর মধ্যে কে এগিয়ে তার পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় না। সূত্র : রয়টার্স