ভাঙা হচ্ছে আলোচিত সেই স্টেডিয়াম

স্পোর্টস ডেস্ক
  ১৪ জুন ২০২৪, ১৬:০৯

গড়তে লেগেছে ১০৬ দিন, ভাঙতে লাগবে ৪২ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম আবার পরিণত হবে পার্কে। গত পরশু বুধবার থেকে স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ শুরু করা হয়েছে। এর আগে শেষবারের মতো মাঠটিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র নেমেছিল, যেখানে জয় দিয়ে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল।
স্টেডিয়াম তৈরি করার আগে স্থানটিতে মূলত পার্ক ছিল, আইজেনহাওয়ার পার্ক নামেই সবার কাছে সেটি পরিচিত ছিল। বিশ্বকাপ সামনে রেখে সেই পার্ককে স্টেডিয়ামে রূপান্তর করা হয়। এবার এই মাঠের খেলা শেষে আবারও পার্কে পরিণত করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে চাইলে এখানে মাঠটি রেখে দেওয়াও সম্ভব।
আইসিসির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তারা যদি মাঠটি রাখতে চায় এবং প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনা করতে চায়, তাহলে তারা সেটি করতে পারবে। অন্যথায় ড্রপ ইন পিচ অন্য কোথাও স্থাপন করে আউটফিল্ডকে বর্তমান অবস্থানেই রাখা হবে।’ এই স্টেডিয়ামে কয়েকটি মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এমএলসি কর্তৃপক্ষ ও তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খুব বেশি উত্সাহী না হওয়ায় পার্ক তৈরির জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার এই জায়গায় না হলেও আশপাশে আরেকটি স্টেডিয়াম তৈরির কথা শোনা গেছে। সেটি ভারতের ধনকুবের আম্বানি পরিবার ও তাদের ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের রক্ষণাবেক্ষণে হবে বলে জানা গেছে।
চলতি বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ এই মাঠে গড়িয়েছে। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়াম ক্রিকেট-ভক্তদের মনে থাকবে এর বৈশিষ্ট্যের কারণে। প্রায় প্রতিটি দল এই মাঠে রান তুলতে গিয়ে নাকানিচুবানি খেয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের হাই ভোল্টেজ ম্যাচেও দেখা গেছে রানের খরা। বাংলাদেশ ১১৪ রানের লক্ষ্যভেদই করতে পারেনি। ভারত ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি। শ্রীলঙ্কা তো মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে ভরাডুবির সাক্ষী হয়েছে। তাতে এই স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন উইকেটের ব্যাপারে আগ্রহ কিছুটা কম থাকারই কথা। আবার আউটফিল্ডও তেমন কার্যকর দেখা যায়নি। তাতে পার্কে পরিণত করা ছাড়া তেমন উপায়ও ছিল না। ক্রিকেটে নয়, ফুটবলেও এমন ভ্রাম্যমাণ স্টেডিয়াম দেখা গেছে। কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম ৯৭৪ তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ীভাবে, যেখানে ৯৭৪টি শিপিং কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছিল।