রেস ছেড়ে দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। একটি ফাঁস হওয়া ভিডিওতে এই কথা বলতে শোনা গেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ডেইলি বিস্টের থেকে প্রাপ্ত একটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট একটি গল্ফ কার্টে বসে আছেন, হাত ভর্তি ডলার। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলে ব্যারন। সেখানে বসেই তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন। এ সময় পাশে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘সে রাতে (বাইডেনের সঙ্গে) বিতর্কে আমি কেমন করেছি?’ ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি ( বাইডেন ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। আমি তাঁকে ভোটের মাঠ থেকে ছিটকে দিয়েছি।’ ট্রাম্পের দাবি, বিতর্কের পর বাইডেন ভেঙে পড়েছেন। বাইডেনকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীর করার পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন সরে যাওয়ার অর্থ নির্বাচনে কমলা দাঁড়াবেন।’
হোয়াইট হাউস এবং বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাটরা এখনো বলছেন যে বাইডেন দলের মনোনীত প্রার্থী থাকবেন, যদিও ভোটার জরিপগুলি পরামর্শ দেয় যে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে গেছেন এবং নভেম্বরের নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আরও শক্তিশালী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে পারেন।
কমলা হ্যারিস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ট্রাম্পের দাবি, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি তুলনামূলক ভালো হলেও তিনি খুবই খারাপ। খুব দুর্বলও।’ দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে।
তবে সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। তিনি তাঁর প্রচারণা কর্মীদের সাথে ফোন কলে কথা বলেছেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সাথে বৈঠক করেছেন। এসময় ২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরের মুখেও একই কথা শোনা গেছে। ট্রাম্পের প্রচারণা ভিডিওটিতে সরাসরি কোনো মন্তব্য না থাকলেও বাইডেনের দুর্বল পারফরম্যান্স দেখে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্পূর্ণ পতনের পূর্বাভাস মিলেছে।
যদিও বাইডেন-হ্যারিস প্রচারাভিযানের সময় একটি বিবৃতিতে ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে – ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দিন দিন নিচে নামছেন, তা বুঝে গেছেন আমেরিকার লোকজন। এই ভিডিওর মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে একেবারে নিচে নামিয়ে দিয়েছেন। ’ফাঁস হওয়া ভিডিও এবং অডিও ক্লিপগুলি এর আগে ট্রাম্পের জন্য বিব্রতকর প্রমাণিত হয়েছে। যার মধ্যে ২০১৬সালে কুখ্যাত অ্যাক্সেস হলিউড টেপ ছিল যেখানে তিনি নারীদের অশ্লীল ভাষায় বর্ণনা করেছেন এবং তাদের যৌন হয়রানির বিষয়ে বড়াই করে বলেছিলেন।
সর্বশেষ ভিডিওতে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেইসডেন্ট শি জিনপিং সহ বিদেশী প্রতিপক্ষের সাথে মোকাবিলা করার জন্য বাইডেনের ক্ষমতা নিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।