গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও আবারও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। দেশটি বলছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী ড. ইউনূস সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফর সম্পর্কেও জানতে চান। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, তারা ড. ইউনূসের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এলো মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ।
মুশফিকুল ফজল আনসারী মিলারের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনি সমস্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, আমরা তার বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা কিছু সময়ের জন্য আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এই মামলাগুলি ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন যে, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অনুভূত অপব্যবহারে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির রাশিয়া সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির বিঢয়ে প্রশহ্ন করলে মিলার বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে কথা বলেছি। আমি যা বলেছি তাতে যোগ করার কিছু নেই। এবং চীন সফরের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, দেখুন, আমরা যা বুঝি দেশগুলো চীনের সাথে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রও চীনের সঙ্গে জড়িত। পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী নিজেও দুইবার চীন সফর করেছেন, তাই এ বিষয়ে আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।