যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দূতাবাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন।
লোপেজ ওব্রাদর বলেন, এই 'বিরতি' দূতাবাসগুলোর সাথে, দেশগুলোর সাথে নয়। কূটনীতিকরা মেক্সিকোর স্বাধীনতা, আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেই সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা শিখতে হবে।আমরা তাদের কোনো বিষয়ে উপদেশ দেব না, কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল তা বলবো না। তাই আমরা চাই, তারা শ্রদ্ধাশীল হোক।
সম্প্রতি মেক্সিকোর বিচারবিভাগে আনা একটি সংস্কার নিয়ে সেখানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন সালাজার মন্তব্য করেন। তিনি এই সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মেক্সিকোর গণতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য এটি একটি বড় ঝুঁকি। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো বাণিজ্য সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একইভাবে মেক্সিকোতে কানাডার রাষ্ট্রদূত গ্রায়েম সি ক্লার্ক বলেন, কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীরা এই সংস্কারের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সমালোচকরা বলছেন, মেক্সিকোতে বিচারবিভাগে আনা সংস্কার ক্ষমতার পৃথকীকরণকে দুর্বল করবে। সেই সঙ্গে কিছু স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তার ক্ষমতা হারাবে।
মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা উদ্বিগ্ন যে, বর্তমানে আলোচনাধীন অন্যান্য বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক সংস্কার মার্কিন-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তিতে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
তবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সংস্কার সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, মানবতাবাদ, ন্যায়বিচার, সততা, এবং গণতন্ত্র সম্পর্কিত আদর্শ ও নীতিগুলোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা মাত্র।