মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস গতকাল বৃহস্পতিবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় তারকাখচিত সমাবেশ করেছেন।
সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রক কিংবদন্তি ব্রুস স্প্রিংস্টিন যোগ দিয়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা স্যামুয়েল এল জ্যাকসন ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্পাইক লি। সমাবেশে তাঁরা কমলার পক্ষে জোর সমর্থন জানান।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সামনে রেখে এখন দেশটিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের নির্বাচনী প্রচার চলছে।
ভোটের ক্ষেত্রে জর্জিয়াকে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভোটারদের নিজের দিকে টানার চেষ্টার অংশ হিসেবে এখানকার নির্বাচনী প্রচারে তারকাদের সমাবেশ ঘটালেন কমলা।
আজ শুক্রবার টেক্সাসে কমলার নির্বাচনী সমাবেশে মার্কিন পপতারকা বিয়ন্সের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও তাঁর নির্বাচনী প্রচারে তারকাদের সমাবেশ ঘটাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। কমলার সমাবেশে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আক্রমণ করে নানা কথা বলেন। ট্রাম্পের ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে উপহাস করেন।
ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে ওবামা বলেন, যিনি রাজা হতে চান, স্বৈরশাসক হতে চান, এমন কোনো ব্যক্তির দরকার নেই। যিনি তাঁর শত্রুদের শায়েস্তার চেষ্টায় সারাক্ষণ ব্যতিব্যস্ত থাকেন, তাঁকে মার্কিনিদের প্রয়োজন নেই।
ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে কীভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন, তা নিয়ে কথা বলেন স্প্রিংস্টিন। তাঁর কথায় ডেমোক্র্যাটদের, ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সদস্যদের উদ্বেগের প্রতিধ্বনি শোনা যায়।
স্প্রিংস্টিন বলেন, একজন জালিম শাসক হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়ছেন ট্রাম্প।
‘আইকনিক’ গায়ক স্প্রিংস্টিন তাঁর সামাজিক সচেতনতার জন্য সুপরিচিত। তিনি শ্রমিক শ্রেণির সংগীতের জন্য বিখ্যাত। কমলার প্রতি সমর্থন জোগাতে সমাবেশে ‘দ্য প্রমিজড ল্যান্ড’সহ তিনটি গান পরিবেশন করেন তিনি।
কমলা তাঁর ভাষণে মার্কিন মধ্যবিত্ত শ্রেণির পক্ষে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দেবেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব, যেখানে জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই বিষয়ই হবে আমার গুরুত্বের ক্ষেত্র।’