মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ডেমোক্রেট শিবিরে হতাশার মাত্রা ততোই বাড়তে শুরু করেছে। বিপরীত দিকে রিপাবলিকান শিবিরে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। শনিবার দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের ১০দিনের জরিপ তথ্যের গড়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা ছিল ৪৭ শতাংশ এবং তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ছিল ৪৬ শতাংশ। দুজনের মধ্যে ব্যবধান মাত্র এক শতাংশ। যে সাতটি রাজ্যে দুই প্রার্থীর তীব্র লড়াই হবে সেসব রাজ্যে সমীক্ষায় দুজনের পরিস্থিতি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। বিজয়ের জন্য কে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট পাবেন সেই বিষয়ে খুব কমই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
জরিপের গড় অনুসারে, হ্যারিস মিশিগানে এক পয়েন্ট এবং পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন ও নেভাদায় এক শতাংশের কম এগিয়ে। নর্থ ক্যারোলিনায় দুই পয়েন্ট এবং অ্যারিজোনায় এক পয়েন্টের লিড রয়েছে ট্রাম্পের।
সম্প্রতি হ্যারিস শিবিরে কিছুটা আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।
মাইক অ্যালেন এবং জিম ভ্যানডেহি শুক্রবার অ্যাক্সিওসে লিখেছেন, ‘শীর্ষ ডেমোক্রেটদের ক্রমবর্ধমান সংখ্য আমাদের ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন, তারা মনে করেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হেরে যাবে-যদিও ১১ দিন আগের জরিপে দেখা যাচ্ছে তিনি এগিয়ে আছেন।’
এই দুজন জানিয়েছেন, এক শীর্ষ ডেমোক্রেট নেতা ‘আমাদের কাছে লিখেছেন, তার (হ্যারিসের) প্রচারাভিযানের ভিতরে ও বাইরের ডেমোক্রেটদের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত কথোপকথনগুলোতে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ পাচ্ছে, ...মনে হয় সুঁচ সরে যাচ্ছে। ডেমোক্রেটরা ইতিমধ্যেই আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে হ্যারিসের ক্ষতির জন্য কে বেশি দায়ী?-তাকে টেনে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন নাকি হ্যারিস নিজেই।’
অপরদিকে, ট্রাম্পের প্রচার শিবিরকে ‘বিস্ময়কর আত্মবিশ্বাসী’ দেখা যাচ্ছে। তারা হোয়াইট হাউসে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তাদের এই উৎসাহ প্রমাণ করে যে, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারের সময় যেসব অযাচিত বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ভোটারদের মধ্যে তেমন প্রভাব পড়েনি।