দিন যত কাছে আসছে ততোই জমে উঠছে মার্কিন নির্বাচন। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত, নানন আলোচনা।
কারো সমর্থন কমলা হ্যারিসকে আবার কেউ বা বাজি রাখছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে। কারো আশা নারী হবেন জয়ী আবার কেউ বলছেন শক্তিশালী পুরুষ ট্রাম্পই হাল ধরবেন মার্কিন মুল্লুকের। এমন নানামুখী আলোচনা থেকে বাদ নেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব বা নানমুখী আক্রমনের খবর ভাসছে বিশ্বজুড়েই। যেমন এরই মধ্যে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমনের অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন প্রার্থীদের ফোনে আড়িপাতাসহ নানামুখী অপরাধ করবে চীন।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন-রিপারিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রানিংমেট জে ডি ভ্যান্সের ফোন বা অন্য নেটওয়ার্কে আড়িপাতার চেষ্টায় চীনের বা চীনের হযয়ে কাজ করে এমন সাইবার অপরাধীরা যুক্ত থাকতে পারেন।
ঐ কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প-ভ্যান্সের নির্বাচনী প্রচারশিবিরকে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল অনেক আগেই। আগেই হুঁশিয়ার করা হয়েছিল। ট্রাম্প ও ভ্যান্স যেসব ফোন ব্যবহার করেন সেগুলোতে সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়ে থাকতে পারে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।
শুধু ট্রাম্পই নন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস, তাঁর রানিংমেট টিম ওয়ালজ ও তাঁদের নির্বাচনী প্রচারশিবিরও হয়েছে সাইবার হামলার শিকার। এ বিষয়ে বিবিসিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন এক কর্মী।
অবশ্য মার্কিন বিচার বিভাগ এবং এফবিআই এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেছে।
এফবিআই এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিআইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত কেউ বাণিজ্যিক টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোতে অনুপ্রবেশ করেছে কি না’ তা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনুপ্রবেশের ঘটনা শনাক্ত হওয়ার পর তারা দ্রুত আক্রান্ত কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে এবং আরও যাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল, তাদের সঙ্গে দ্রুত তথ্য বিনিময় করেছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।