রিপাবলিকান পার্টির মাঠ পর্যায়ের নেতারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন ডনাল্ড ট্রাম্পই হচ্ছেন অ্যামেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। ফলে টেনেসিসহ যেসব স্টেইটে ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত সেখানে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার সীমিত করে সেনেট, হাউয ও স্থানীয় প্রার্থীদের পক্ষে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তারা। স্টেইট, কাউন্টি ও সিটি পর্যায়ের রিপাবলিকান নেতারা বলছেন, এবার সেনেট ও হাউযে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা চান তারা। কারণ ‘মেইক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন’ বাস্তবায়ন করতে এর কোন বিকল্প নেই।
সেলবি কাউন্টির স্থানীয় অনেক রিপাবলিকান নেতা-কর্মীর দেখা মেলে আগাম ভোট কেন্দ্রে। তারা মেয়র, কাউন্সিলরসহ স্থানীয় নেতাদের ভোট জন্য ভোট চাইলেও ট্রাম্পের জন্য ভোট চাইছেন না। কারন হিসেবে তারা বলছেন, যেসব স্টেইটে ট্রাম্প সহজেই জয় পাবেন সেখানে তার পক্ষে ভোট চেয়ে সময় নষ্ট না করে বরং সেনেটর, কংগ্রেস ও মেয়রসহ স্থানীয় প্রার্থীদের জেতানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। ট্রাম্পের জয়ের ব্যাপারে রিপাকলিকানদের এতোটা আত্ম বিশ্বাসের কারন কি তা জানান টেনেসির নেতারা।
রিপাবলিকান পার্টি বা ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ইমিগ্রেশন অনেক কঠিন হবে এমনই মনে করেন বাংলাদেশি-অ্যামেরিকানসহ অনেক ভোটার। কিন্তু এসব রিপাবলিকান নেতারা বলছেন ভিন্ন কথ। এই নেতারা বলেছেন, ট্রাম্প আসলে অভিবাসন বিরোধী নয় তবে তিনি চান যারা অ্যামেরিকাতে বসবাস করতে চায় তারা বৈধ পথে আসুক। ট্রাম্পের সময় যুদ্ধবিগ্রহ কম ছিলো উল্লেখ করে এই নেতারা বলেছেন, আবার ক্ষমতায় এলে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউক্রেন-রাশিয়া যদ্ধের একটা যৌক্তিক সমাধান হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি অ্যামেরিকাকে গারবেজ ক্যানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি প্রায়ই দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে এমন সব মন্তব্য করেন যা তার ও রিপাবলিকান পার্টির প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরী করে। এদিকে, এশিয়ার বিশেষ করে বাংলাদেশি অ্যামেরিকানদের রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান শেলবি কাউন্ট্রির রিপাবলিকান পার্টির ভাইস চেয়ার নাসের ফয়জুল্লাহ।