গত মে মাসে বিয়ে করেন মাহিমা খানম ও জোবায়ের হোসেন। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। ২৬ ডিসেম্বর মাহিমাকে বিবাহবিচ্ছেদের চিঠি পাঠান জোবায়ের। এর জেরে ধরে চিঠি। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে স্বামীর কর্মস্থলে গিয়ে কাচের বোতল ভেঙে নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেন মাহিমা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা জোবায়েরকে আটক করেছে। এদিকে মাহিমার মা অভিযোগ করেছেন, জোবায়ের তার মেয়েকে ধারালো কিছু দিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
জোবায়ের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়েন। পাশাপাশি গুলশানের নিকেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
জোবায়ের জানান, মাহিমা শুক্রবার রাতে নিকেতনের কর্মস্থলের সামনে গিয়ে মুঠোফোনে কল করেন। তখন তিনি কার্যালয়ে ছিলেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সেখানে কাচের বোতল ভেঙে নিজের পেটে আঘাত করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি মাহিমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মাহিমার মা সেলিনা আক্তার বলেন, জোবায়ের তার মেয়েকে ধারালো কিছু দিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মাহিমা খানমের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী জোবায়েরকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি গুলশান থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।  
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমান বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গেছে