সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ‘বিপ্লবীদের’ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছেন, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত রোববার অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন উপদেষ্টার শপথ নেন তিনজন। তাদের মধ্যে দুজনের নিয়োগ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সামাজিক মাধ্যমে নানা সমালোচনামূলক পোস্ট দেন।
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ রয়েছে জানিয়ে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের দাবি, উপদেষ্টাদের মধ্যে সফট আওয়ামী লীগার বা ফ্যাসিস্ট দলের প্রতি সহানুভূতিশীল আছে, এরকম ব্যক্তিদের অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে।
ছাত্র-জনতার অংশীদারত্বের বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তা মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সোমবার রাতে ফেসবুক পোস্টে সেখ বশির উদ্দিনকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘চরম ফাইজলামি’ বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ৷
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লেখেন, বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেফতার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলো ভণ্ডামি। আপনারা হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?
এর কিছুক্ষণ পর নিজের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ৷ লাল ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। ১৩৪ শে জুলাই, ২০২৪’।
এছাড়া উপদেষ্টা নিয়োগসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো সঠিক ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় এবং অভ্যুত্থানের অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হচ্ছে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি৷