কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২০ বস্তা টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:২৩

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাগলা মসজিদে আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় তিন মাস ৬ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এতে মোট ২০ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।
আজ টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন- সিনিয়র সহকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতি ৩ মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১ অক্টোবর তিন মাস ১ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন জানায়, পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন। জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।