খাবারের পাত্রে মিষ্টি কুমড়া দেখলে অনেকেরই নাক সিঁটকায়! কারও মতে, মিষ্টি কুমড়া কোনো সবজিই নয়! কিন্তু চচ্চড়ি থেকে ঘণ্ট কুমড়ার কদর সব জায়গায়। কোনো পাঁচমেশালি রান্নার প্রধান উপকরণ হলো এই মিষ্টি কুমড়া। এটি দিয়ে সুস্বাদু স্যুপ থেকে কাবাব সবই বানানো যায়। তবে কুমড়া এমন একটা সবজি যা স্বাস্থ্য ও রূপচর্চায় নানাভাবে কাজে আসে।
মিষ্টি কুমড়াতে ক্যালোরি খুব কম থাকে। সেইসঙ্গে এটি ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থও থাকে। ফলে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য কুমড়া খুব ভালো ডায়েট।
মিষ্টি কুমড়ার বীজও খুব উপকারী। এর বীজ থেকে যে তেল তৈরি হয় সেই তেল রান্নায় ব্যবহার করলেও বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া কুমড়া খিদে কমিয়ে দেয়। ফলে তাড়াতাড়ি ওজন কমে। দেখে নিন তাড়াতাড়ি ওজন ঝরাতে কেন ডায়েটে মিষ্টি কুমড়া রাখবেন-
ক্যালোরি কম : মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। ১০০ গ্রাম কাঁচা কুমড়ার মধ্যে ক্যালোরি থাকে ২৬ ক্যালোরি। ফলে রান্না করলেও তাতে খানিক ক্যালোরি কমে। নির্ভর করছে আপনি কীভাবে তা রান্না করবেন। তবে সেদ্ধ করে খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকারী।
প্রচুর ফাইবার থাকে : ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে .০৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। তাই এক কাপ কুমড়ার মধ্যে ফাইবার থাকে ৩ গ্রাম। ফাইবার কোনো কিছু হজম করাতে খুবই সাহায্য করে। হজম ভালো হলেই পেট পরিষ্কার থাকবে। কমবে ওজনও। আর মিষ্টি কুমড়া খেলে পেটে অনেকক্ষণ ভরে থাকে। খিদেও পায় কম।
ওয়ার্কআউটের পর কুমড়া খান : যেকোনো ওয়ার্কআউটের পর সবচেয়ে ভালো হলো মিষ্টি কুমড়া। হাঁটা হোক কিংবা ব্যায়াম ঘাম ঝরেই। আর কুমড়ার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। ১০০ গ্রাম কুমড়াতে ৩৪০ গ্রাম পটাসিয়াম থাকে। একটা পাকা কলাতেও অত থাকে না। ফলে মিষ্টি কুমড়ার তরকারি দিয়ে রুটি কিংবা কুমড়ার কেক অথবা একটা ডিম সেদ্ধ, কুমড়া সেদ্ধ, রুটি খেতে পারলে খুবই ভালো।
ইমিউনিটি বাড়াতে :মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ওজন এমনিই কমে যাবে।
স্ট্রেস কমায় :
মনে রাখবেন মানসিক চাপ বাড়লেই কিন্তু ওজন বাড়ে। মন ভালো না থাকলে কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাই ভালো। মিষ্টি কুমড়াতে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। যা শরীরের ফিটনেস বাড়ায়।