গোপালগঞ্জ সংঘর্ষ ও মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর দেশে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেন অনেকগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। তবে প্রধান উপদেষ্টার ‘বিশেষ এই বৈঠক’ ভিন্নভাবে দেখছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
তারা বলছেন, বিপদে পরলেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ঐক্য দেখানোর চেষ্টা করেন। অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ একটি দলকে পৃষ্টপোষণ করছে বলেও অভিযোগ জানান নেতারা। এমনকি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন দিতে না পারলে প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের পরামর্শও দিয়েছে কেউ কেউ।
বুধবার (২৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৩ রাজনৈতিক দলের বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন কয়েকটি দলগুলোর নেতারা।
তারা বলেন, সরকার সঙ্কটে পড়লেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে এক ধরনের ঐক্য দেখানোর চেষ্টা করে।
সরকার একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তারা জানান, কিন্তু অপারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে না পারলে প্রফেসর ইউনূসকে ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শ দেন কেউ কেউ।
এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কথা না বলতে পেরে ফিরে যান।
এর আগে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মতপার্থক্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। তা না হলে তারা এটিকে সুযোগ মনে করছে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা, সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বৈঠকে অংশ নেন- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক-সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু , নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, এলডিপি’র মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) এবং গণফোরাম সেক্রেটারি ডা. মিজানুর রহমান।
তথ্য সূত্র: একাত্তর টিভি