বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় গতকাল সোমবার দুপুরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর কয়েক ঘণ্টা পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারায় বলা আছে, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজনের মনোনয়ন বৈধ থাকলে নির্বাচন কমিশনার ওই ব্যক্তিকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আগামী ২৩ এপ্রিল অবসরে যাবেন। পরদিন ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন। বিধান অনুসারে স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে একজন মাত্র প্রার্থী থাকায় এবং তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো। সিইসি আরও বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ে মো. সাহাবুদ্দিনের নামে দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ১৩ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের সময় একটি মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণরূপে বৈধ হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরেকটি মনোনয়নপত্র গ্রহণের আবশ্যকতা ছিল না।
রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র পরীক্ষার দিন। একক প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্রটি বৈধ বিবেচিত হওয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর প্রস্তাবক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সমর্থক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের অভিনন্দন : বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল বিকালে তিনি ফোন করে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। ফোনালাপে তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় জনাব মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। চট্টগ্রামের জেএমসি বিল্ডার্সের পক্ষে ২০১৭ সালের জুনে মো. সাহাবুদ্দিন ব্যাংকটির পরিচালক নিযুক্ত হন এবং এরপর তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এত দিন একই পদে বহাল ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি ব্যাংকটি থেকে পদত্যাগ করেন।
নিরপেক্ষতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি : রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণার পরই গতকাল কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি একটি আদর্শকে লালন করতে পারি। কিন্তু জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে আমাকে হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আমার কোনো কর্মকাণ্ড যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আমার এটাই ব্রত থাকবে, জনগণের দ্বারা একটি ভালো নির্বাচন করানো এবং সব সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষভাবে নেওয়া।’
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?Ñ জানতে চাইলে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সরকার, সরকার পদ্ধতি ও দেশ পরিচালিত হোকÑ এটাই সাধারণ মানুষের কামনা থাকে। আমিও (তেমন কিছু কামনা করি)। রাষ্ট্রপতি হলেও আমিও একজন সাধারণ ভোটার। যে দল থেকেই মনোনীত হই না কেন, নির্বাচনের সময় হোক অথবা কোনো বিশেষ সময়ে যদি প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রশ্ন ওঠে, তা হলে আমাকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকতে হবে।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংবিধানবলে রাষ্ট্র আমাকে যেটুকু অধিকার দিয়েছে, সেটুকু যেন আমি পরিপূর্ণ করতে পারি, আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করি। আল্লাহ যেন সেই শক্তিটা দেন।’ তিনি আরও বলেন, দেশের মালিক জনগণ। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, ভোটক্ষেত্রে যেতে হবে, ভোট দিতে হবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের মতো করে সরকার গঠন করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, আমার বড় আকাক্সক্ষা, যেহেতু আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমার আকাক্সক্ষা যাতে অগ্রাধিকার পায়, যাকেই সরকার নির্বাচিত করুকÑ অবশ্যই তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এই ১৪ বছর সরকারের ধারাবাহিকতা আছে এবং ১৪ বছর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকারের ধারাবাহিতা চলছে, এটি উন্নয়নের মাইলফলক বাংলাদেশের। সমগ্র বিশে^ বাংলাদেশ পরিচিত একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। সেই ধারাবাহিকতাই যেন বজায় থাকে। সব সরকারবিরোধী দল যারা আছে, তাদের আহ্বান জানাব, আপনারা আসেন, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আপনারা পরামর্শ দেবেন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে বলবেন, জনগণের রায় যাতে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনোরকম অন্তরায় না থাকে, কোনোরকম প্রশ্ন না হয় সেভাবে যেন নির্বাচনটি হয়। আমি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখে যেতে চাই।’
রাষ্ট্রপতি যেসব সুবিধা পাবেন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের খাবার, আবাসন, চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সেবা খাতের সব ধরনের ব্যয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় করা হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবার এবং কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অতিথিদের পানীয় ও তামাকজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ট্যাক্স-ফ্রি কিনতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি অবসরে গেলেও আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত স্টাফসহ অবসর সুবিধা পাবেন।
১৯৭৫ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, ‘রাষ্ট্রপতির বেতন ভাতা ও সুবিধাদি আইন’ প্রণয়ন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৭৫ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) ১৯৭৫ পাস হয়। এরপর দশবার আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। আইনটি প্রণয়নের সময়ে (১৯৭৫ সালে) রাষ্ট্রপতির বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫০০ টাকা। এরপর ১৯৮৭ সালে আড়াই হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা, ১৯৯২ সালে ১৫ হাজার টাকা, ১৯৯৮ সালে ২৩ হাজার টাকা, ২০০৫ সালে ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা, ২০০৯ সালে ৬১ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অবশ্য বেতন বৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক থেকে দেড় বছর আগে ভূতাপেক্ষ হিসেবে কার্যকর ধরা হয়েছে। যেমনÑ ২০১৬ সালের মে মাসে আইন সংশোধন করে যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেটি কার্যকর ধরা হয়েছে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে।
সর্বশেষ সংশোধিত দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) আইন ২০১৬ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেতন-ভাতা ছাড়াও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আরও অনেক সুবিধা ভোগ করেন। তিনি যে বেতন পান, সেটি সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত। রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি আবাসন ব্যবস্থা থাকবে। এর আসবাবপত্রসহ সুসজ্জিতকরণ ও মেরামতের পুরোটাই সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিজের বাড়ি বা ভিন্ন কোনো বাড়িতে অবস্থান করতে চাইলেও, সেটিকে সুসজ্জিতসহ উপযুক্তকরণের দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। অবশ্য আইনে এই সুযোগ থাকলেও জাতির পিতা ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বসবাস করে আসছেন। রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের খাবার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। আইনে পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী-স্বামী, সন্তান, পিতা-মাতা ও অবিবাহিত ভাইবোনকে বোঝানো হয়েছে, যারা তার ওপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রপতির সরকারি আবাসস্থলের টেলিফোন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের সেবা খাতের ব্যয় সরকার বহন করবে। এসব বিল ট্যাক্সেরও আওতায় আসবে না। রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় যানবাহন সরকার নিশ্চিত করবে। রাষ্ট্রপতির সব ধরনের সফর ও সফরকালীন অবস্থানের ব্যয়ও সরকার প্রদান করবে। পরিবহনের জ্বালানি সরকার বহন করবে এবং জ্বালানি হবে ট্যাক্সের আওতামুক্ত। রাষ্ট্রপতি ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেলওয়ে, বিমান ও নৌযানে সর্বোচ্চ সুবিধাসংবলিত আসন পাবেন। বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে তার বার্ষিক ২৭ লাখ টাকা বীমা কাভারেজ সরকার প্রদান করবে। সরকারি কাজে বিদেশ সফরের সময়ে তার সব ধরনের খরচ সরকার প্রদান করবে।
আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আপ্যায়নের সুবিধাদি প্রাপ্য হন। বঙ্গভবনে দেশি-বিদেশি অতিথি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার, ইফতার পার্টি, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, বুদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা, যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন, পহেলা বৈশাখ, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় সরকারের নির্ধারিত এ খাত থেকে বহন করা হয়। রাষ্ট্রপতি কোনো দেশি-বিদেশি অতিথিদের কোনো ধরনের উপহার দিলে, তার ব্যয়ও সরকারি খাত থেকে করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের আবাসস্থলেও সাধারণ চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া দেশের হাসপাতালগুলোতে সরকারি খরচে এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতি বছরে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের জন্য স্বেচ্ছাধীন তহবিল পাবেন। সরকারের নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে এটি ব্যয় করবেন রাষ্ট্রপতি। স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ থেকে দরিদ্র, অসচ্ছল, অসহায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতির এ খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো সরকারি অডিট হবে না। এ ছাড়া ছয় মাস বা তার অধিক সময়কাল দায়িত্ব পালন শেষে রাষ্ট্রপতি অবসরে গেলেও বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা পাবেন রাষ্ট্রপতি। এর বাইরেও অবসরকালে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন অ্যাটেনডেন্টসহ সরকার নির্ধারিত দাপ্তরিক খরচ পাবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাহাবুদ্দিনকে জাতিসংঘের অভিনন্দন
এদিকে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় এ বিবৃতি এ অভিনন্দন জনায়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বার্তায় গণপ্রজাতন্ত্রের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাকে নির্বাচিত করার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অভিনন্দন জানানো হয়। ।
বিবৃতিতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন এবং জাতিসংঘ সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অর্জনে সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের অংশীদারিত্ব আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।