‘বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারে সময় এত বেশি অন্যায়, অনিয়ম, অত্যাচার, আইন ভঙ্গ হয়েছে যে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। এগুলো ভাঙার পর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে আমরা আওয়ামী লীগের মতো নিশি রাতের নির্বাচন চাই না। নির্বাচন হতে হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্সাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। পুলিশ, জুডিশিয়ালি, প্রশাসন, আর্ম ফোর্সেস, বিজিবিও ঢেলে সাজাতে হবে। এগুলো সংস্কারে যে সময় প্রয়োজন সেটা আমরা দেবো। কিন্তু রোজ কেয়ামত পর্যন্ত তো সময় দেওয়া যাবে না। মিনিমাম যে সময় প্রয়োজন, যে সংস্কার প্রয়োজন সেটা করতে হবে। আর সে জন্য বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
আলতাফ হোসেন চৌধুরী ‘সংস্কার একটি প্রবাহমান প্রক্রিয়া, বিগত দিনেও সংস্কার হয়েছে এখনও হচ্ছে আগামী দিনেও সংস্কার হবে। ভারতীয় আগ্রাসন রুখতে সকলকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজন্ট রা বিএনপির মধ্যে কোন্দল এবং বিরোধ সৃষ্টি করতে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ইমাম জাফর সিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিগত ১৫ বছরে বিএনপির নির্যাতিত ও কারভোগকারী ১৫০০ নেতাকর্মীদের মাঝে উপহার সামগ্রী, শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মাকসুদ আহম্মেদ বায়জীদ পান্না, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম মোজাম্মেল হোসেন তপন, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহসীন উদ্দিন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রুমি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।