ভারতের কারাগার থেকে ফিরলেন ৯০ জেলে-নাবিক

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৮

ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক দুই ফিশিং ট্রলারে থাকা ৭৮ জেলে-নাবিকসহ মোট ৯০ জন চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গায় পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত কোস্টগার্ডের ঘাটে পৌঁছান তারা। এরপর সকাল ১০টায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেরত আসা ৯০ জেলে-নাবিককে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি ফেরত আনা দুটি ফিশিং জাহাজ ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’ মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মনোয়ার মোকারমসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পতেঙ্গা কোস্টগার্ড ঘাটে নাবিক-জেলেদের বরণ করতে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন স্বজনরা। নাবিকরা তীরে ওঠার পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে!
সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্র জানিয়েছে, ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিককে রবিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার হিরণ পয়েন্টে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদফতর নিশ্চিত করেছিল। আটক দুটি নৌযান হলো ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি গত ২৭ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ২০ ডিসেম্বর ঘাটে ফেরার কথা ছিল। ট্রলারটিতে ৪১ জন নাবিক-জেলে ছিলেন। এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর সাগরে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এটিতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে ছিলেন।
ভারতীয় জলসীমায় মাছ শিকারের অভিযোগ এনে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে রাখা হয়।
এ ছাড়া গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। ওই নৌকায় থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরও অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়।