‘বিএনপি ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে নরম করেছে, আপনার ফল খাচ্ছেন’ 

সমাবেশে মির্জা আব্বাস
ডেস্ক রিপোর্ট
  ০১ মে ২০২৫, ২৩:১০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপি ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে নরম করেছে। আর এখন আপনার এর ফল খাচ্ছেন। দুই দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিস্টের পতন হয়নি। দুঃখ লাগে কিছু ছেলে যখন বলে, বিগত ১৭ বছর বিএনপি কী করেছে?
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘মে দিবস’ উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সিনিয়র নেতারা। 
অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি কখনও সংস্কারের বিপক্ষে নই। আমিও সংস্কার চাই। কিন্তু আমাদের বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনেকে বলে, আমরা ১৭ বছরে কী করেছি? 
তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা কী জেলে যাইনি? মঞ্চে থাকা এমন কোনও নেতা নেই, যারা একাধিকবার কারাগারে যাননি। আসলে তারা বিএনপিকে ক্রেডিট দিতে চাননি। বিএনপিকে শুনতে হয় ১৭ বছরে কোনো কিছুই করে নাই। কেউ কি বলতে পারবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলে যায়নি? এমনকি তারেক রহমান পর্যন্ত জেলে ছিল। আশ্চর্য হতে হয় কিছু কিছু ছেলে বলে ১৭ বছর বিএনপি কী করছে। এটা যারা বলে তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করে। তারা বিএনপিকে ক্রেডিট (কৃতিত্ব) দিতে চায় না। একা একা ক্রেডিট নিতে গিয়ে দেশটাকে ধ্বংস করবেন না। সামনে দেশের দুর্দিন মারাত্মকভাবে এগিয়ে আসছে। 
তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, একটু খেয়াল রাখা দরকার। আমি যা বলেছি, আবার বলছি ফ্যাসিস্ট তাড়াতে গিয়ে আমরা আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, সেটা খেয়াল রাখবেন। আমরা বলতে কেবল বিএনপির কথা বলি নাই। সবার কথা বলছি আমি। 
মির্জা আব্বাস বলেন, একেকজন একেক কথা বলছেন। কেউ কারও কথা মানছেন না। বিএনপি সবার পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই সময়ে অনৈক্য দেশকে শেষ করে দিতে পারে।
রাখাইনে মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ প্রসঙ্গেও কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে। আমাদের কেউ রোহিঙ্গাদের জায়গা দেবো, কেউ প্রতিবেশীকে নদীর পানি দিয়ে দেবে, আবার এখন করিডোর দিতে হবে; কেন?
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পাশ কাটিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জনগণ মানবে না।