আর কোনো তন্ত্র-মন্ত্র চাই না, শরিয়াহ আইন চাই

রেজাউল করিম আবরার
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৯ মে ২০২৫, ২২:০৬

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বাংলাদেশ যখন চরম কঠিন সময় পার করছিল, তখনো একদল চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল। যারা কঠিন সময়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল, দেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতা দেখতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আর কোনো তন্ত্র-মন্ত্র চাই না, আমরা শরিয়াহ আইন চাই। এদেশে শরিয়াহ আইন ছাড়া বিকল্প নেই। বাংলাদেশে সবকিছুর খেলা শেষ।’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের ঐক্য ভাবনা উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদ জনতার করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে শহরের চুনকা পাঠাগারে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
মুফতি রেজাউল করিম আবরার বলেন, এই ৫৩ বছরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধার যে তিনটা চেতনা ছিল—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার, কেউই এই তিনটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তাদের প্রধান টার্গেট ছিল কীভাবে রাষ্ট্রের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়। কীভাবে দলীয় আধিপত্য বিস্তার করা যায়। কীভাবে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করা যায় (সে বিষয়ে)।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ৫২ বছরে জাতীয়তাবাদকেও দেখেছে, ধর্মনিরপেক্ষতাকেও দেখেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেখেছে। কিন্তু কেউই সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। দেশের বিদ্যমান আইন দিয়ে পশু-পাখিরও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না। আমরা বাংলাদেশে আর কোনো তন্ত্র-মন্ত্র চাই না, আমরা শরিয়াহ আইন চাই। এদেশে শরিয়াহ আইন ছাড়া বিকল্প নেই। বাংলাদেশে সবকিছুর খেলা শেষ।’
সংস্কার প্রসঙ্গে রেজাউল করিম আবরার বলেন, ‘শুধু নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই-আগস্ট গণবিপ্লব হয়নি। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করতে হবে। যে জায়গার সংস্কার দরকার, সেসব জায়গায় সংস্কার করতে হবে। আবার সংস্কারের নামে নারী সংস্কারের যে প্রতিবেদন দিয়ে, সে সংস্কারের দরকার নেই।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল হাকিম আদ দিফায়ীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদির, মহানগর ইসলামী আন্দোলন সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদিন আহম্মেদ ও মহানগর জামায়াতের আব্দুল জব্বারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।