ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না। জবাবদিহিতামূলক সরকার কায়েম হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ গঠন হবে।’
শনিবার (২৬ জুলাই) খুলনার শিববাড়ি মোড়ে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনো দেশকে অনিরাপদ করে রেখেছে। স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করে সুযোগ নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশ গঠনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন বলে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সেই সংস্কার হতে হবে রাষ্ট্রের কাঠামোতে, আইনে এবং রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে। রাষ্ট্রের কাঠামো ও আইনি সংস্কারের কাজ কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক চরিত্র ও সংস্কৃতিতে তেমন কোন পরিবর্তন আসে নাই।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘চাঁদাবাজি কোনো অর্থে কমেনি। সন্ত্রাসও কমেনি। বরং রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যে বর্বরতায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে জনতা ফুঁসে উঠেছে স্বাভাবিক কারণে। জনতার সেই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বর্বরতাকে আড়াল করে ফেলা হয়েছে।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কর্মীদের অপরাধের দায়ভার দল হিসেবে আপনাদের বহন করতে হবে। চাঁদাবাজরা বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততা দেখিয়ে জনতার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। তাই জনতার ক্ষোভ বিএনপির প্রতি হবে এটা স্বাভাবিক। জনতার এ প্রতিবাদকে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে দলের ভেতরে থাকা অপরাধীদের চিহ্নিত করুন।’
এসময় ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগরের সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, নগর সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব ও মহানগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।