মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। 
এর আগে বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে এই প্রতিবাদ জানান। 
মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ ছাড়াও সীমান্তে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথাও জানানো হ‌য়।
গতকাল সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক বাংলাদেশি নারী এবং এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আজ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করা হয়। 
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনীর ২২৯ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যরা তাদের দেশে ফিরতে চান। মিয়ানমারও তাদের ফিরিয়ে নিতে চায়। তাদের ফেরত পাঠানোর উপায় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। 
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‌‌‘মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। তাদের সীমান্তরক্ষীদেরও ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।’ 
এদিকে মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।