‘নির্বাচন বানচাল বা ক্ষতিগ্রস্ত করার যেকোনো চেষ্টা ব্যর্থ হবে’

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০৮


নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, নির্বাচন বানচাল বা ক্ষতিগ্রস্ত করার যেকোনো চেষ্টা ব্যর্থ হবে। কমিশনের মতে, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ইসি কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা এই নির্বাচনকে বানচাল করতে চাইবে, তারা ব্যর্থ হবে। যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ় থাকবে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা পরিষ্কার।’
ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার যেসব চেষ্টা চলছে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকার অবগত রয়েছে।’
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জানান যে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যেমন শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলা। তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়নি, তবে কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত, সে বিষয়ে আমরা অবহিত।’
ইসি সানাউল্লাহ জানান, দুটি উপজেলায় নির্বাচন অফিসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এবং চোরাগোপ্তা হামলার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব হামলা প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চেকপোস্ট বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যাতে সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম সীমিত করা যায় এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা যায়। তিনি জানান, ‘রেবেল হান্ট’ অপারেশন চলমান রয়েছে এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমের সমন্বয়ের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা সতর্ক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি রাজনৈতিক দল ও মাঠে থাকা ব্যক্তিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, কারণ এসব ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল তফসিল ঘোষণার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা। ইসি সানাউল্লাহ জানান, ‘নির্বাচনে সন্ত্রাসী বা নাশকতাকারীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য প্রচারের ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলির ঘটনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনার সময় বলেন, যারা এই কাজ করেছে, তারা ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তবে এই বৈঠক তার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা পরবর্তী যে কোনো ঘটনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে আইনের শাসন বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।