গত ১৭ রামাদান মোতাবেক ২৭ মার্চ, বুধবার বাদ জোহর সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলাধীন লাউতা গ্রামের নিজ বাড়ীতে ( খানবাড়ী-২ ) রোজা রাখা অবস্থায় হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে গিয়ে সাথে সাথেই তিনি নিজ আলেম সন্তান খানবাড়ী মসজিদের ইমাম শাইখ হেলাল আহমদ মাটিজুরীর হাতে কোনো প্রকার ছাখারাত ছাড়াই কালেমা শুনে শুনে ও পড়ে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ( ইন্না লিল্লাহি...রাজিঊন ) ঐ দিন রাতেই তারাবী নামাজের পর লাউতা-বাউরভাগ জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাঁর নিজ ওসিয়ত ও অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী বাহাদুরপুর পুরান ও নওয়াবাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে বড় ভাই মরহূম ইমাম শাইখ আবদুল করীম খান মাটিজুরীর কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। লাউতা খানবাড়ী সংলগ্ন মোহাম্মদী পান্জেগানা মসজিদ কর্তৃক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলফুল ফুদূলের তিনি ছিলেন উপদেষ্টা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই খুবই ন্যায় পরায়ন, পরহেজগার ধার্মিক ও সত্যবাদী সূফী ব্যাক্তিত্বের অধিকারী আদর্শবান ও পরোপকারী একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর হঠাৎ এমন মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর নিকট শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। রাতে হলেও প্রচুর সংখ্যক মানুষ তাঁর নামাজে জানাজায় শরীক হয়েছিলেন। নিজ আলেম সন্তান ইমাম শাইখ হেলাল আহমদ মাটিজুরী বাবার নামাজে জানাজার ইমামতি করেন। মরহুম খান আলেমদের খুবই ভালো বাসতেন এবং দু’জন আলেমের তিনি ছিলেন পৃষ্ঠপোষক। একজন সিলেট দরগাহ মাদরাসার সাবেক শিক্ষক তাঁর কনিষ্ঠ ভাই মরহূম মাওলানা শাইখ আবূ ইউসুফ, আর অন্যজন হলেন নিজ সন্তান। তিনি তাঁর মা-বাবা প্রথম সন্তান ছিলেন। মা-বাবা তাঁর জন্মে দারুণ খুশি হয়ে তাঁর ডাকনাম রেখেছিলেন ভূধন। মানে পৃথিবীর ধন দৌলত। কেননা তাঁদের কাছে তিনি পৃথিবীর এক মহা ধন বা সম্পদ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মরহুমের জানাজা ও দাফন কাফনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তাঁর আমেরিকা প্রবাসী ভ্রাতুষ্পুত্র লাউতা খানবাড়ী মসজিদের মুতাওয়াল্লী জনাব কাদির খান হাসান ও তাঁর স্ত্রী। আমরা তাঁর পরকালীন দরজা বুলন্দির জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়াগো। _