দুই হাজার ৬০০ নারী আইনজীবীকে রক্ষার জন্যে ধর্ষক ও কুলাঙ্গার বলে অভিহিত করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় কায়সার কামালকে সরকারের এজেন্ট, বালকসুলভ এবং নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে অপরাধী বলেও আখ্যা দেন তিনি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বারের এক নম্বর কক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত কোনও বক্তব্য না দিয়ে মৌখিক বক্তব্য দেন খোকন। তার পুরো সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যই ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালকে ঘিরে। এ সময় খোকন দাবি করেন— আমাকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে করা বহিষ্কার করার কোনও ভিত্তি নেই। আমি জিয়াউর রহমানের সময় থেকে সেই ১৭-১৮ বছর বয়স থেকে বিএনপির ছাত্র রাজনীতিতে ছিলাম। এখনও আছি ভবিষ্যতেও থাকবো। তবে পদ-পদবী কোনও বিষয় না বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন আইনজীবীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করে ধরা খাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার সময় ভবিষ্যতে এমন অপরাধ আর কখনও করবেন না, বলে আন্ডারটেকেন দিয়েছিলেন কায়সার কামাল। পরে সেই নারীকে কাবিন ছাড়াই বিয়ে করেছেন তিনি।’
খোকন বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে আমাকে অব্যহতি দেওয়ার কোনও বৈধতা নেই। কারণ, ফোরামের কোনও গঠনতন্ত্র নেই। গঠনতন্ত্র ছাড়া সংগঠন থেকে এর আগে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারও সঠিক হয়নি।’
প্রসঙ্গত, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের (দলের) সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় নবনির্বাচিত সভাপতি এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার প্রতিক্রিয়ায় আজ সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যারিস্টার খোকন।