ঢাকায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলে (এমআরটি লাইন-৬) চড়তে একজন যাত্রীর সর্বনিম্ন ভাড়া পড়বে ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলে একজন যাত্রীর ভাড়া হবে ১০০ টাকা। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা সম্পূর্ণ ফ্রিতে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপো এলাকায় মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু হতে যাওয়া সম্পূর্ণ বিদ্যুচ্চালিত এই মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি)। মেট্রোরেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করবে। উদ্বোধনের পর প্রথম দফায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, মেট্রোরেলে যাত্রীরা টিকিট কেটে একবারও যাতায়াত করতে পারবেন আবার সাপ্তাহিক বা মাসিক কার্ডের ব্যবস্থাও থাকবে। সাপ্তাহিক বা মাসিক কার্ড দিয়ে যতবার খুশি ততবার যাতায়াত করা যাবে।
তিনি আরও জানান, মেট্রোরেলে চড়তে পরিবারের একাধিক সদস্যের জন্যও একটি কার্ড করার ব্যবস্থা থাকবে। এসব কার্ড করলে আর আলাদা করে টিকিট কাটার দরকার পড়বে না। কার্ডে ভাড়ায় ছাড়ও থাকবে।
এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের ভাড়ায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, ১০০ কিলোমিটার গতিতে নিয়মিত চলবে ট্রেন। ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে ৫ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। ছয়টি কোচের ট্রেন প্রতিবারে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে থেমে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।