শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক মামুন খানকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে এক দল সন্ত্রাসী।
আজ বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন নড়িয়া পৌরসভার বৈশাখীপাড়া এলাকার আবুল ছালাম খানের ছেলে।
নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মামুনের মামা আনোয়ার হোসেন মল্লিক জানান, সন্ধ্যায় নড়িয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাতুড়ি, রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মামুনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
এ সময় মামুনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে রাত ৯টার দিকে মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্বজনদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে এলাকায় মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করতেন মামুন। এ কারণেই স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে।
নিহত মামুনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার হাসপাতালের সামনে আহাজারি করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীগো বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মাইরা হারালো। আমার ১০ বছরের ছেলে আর ৯ মাসের মেয়েকে নিয়ে কই যাইমু। আমি ওগো ফাঁসি চাই।’
নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মামুন খানকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ।’