সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলকারীদের রুখতে শাহবাগসহ আশপাশের সড়কে জলকামানসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুয়ায়ী সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ঢাবির বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছে। তার বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ও সরকারি চাকরিতে কেটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল চলবে। আজ দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে ঢাবির বিভিন্ন হল ও সড়ক পরিদর্শন করবে।
এর আগে, সোমাবার সকালে পুরান ঢাকা হোসাইনী দালার ইমামবাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চলমান কোটা আন্দোলনের বিষয়টি আদালতের বিষয়। উচ্চ আদালত যে আদেশ দেবে সেটিকে শ্রদ্ধা করা ও মানা নাগরিকের দায়িত্ব। আমরা আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। কেউ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গে কোনও ধরনের অপতৎপরতা চালালে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
পুলিশ জানায়, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে যানবাহন চলাচলে বাধা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনকারীরা আদালত অবমাননা করে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। তারা যেন সড়ক অবরোধ করে জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিন বলেন, ‘আজ আমাদের আন্দোলন শুধু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে। সেই সঙ্গে অতি দ্রুত সংসদে আইন তুলে কোটা সংস্কার পাস করতে হবে।’