আন্দোলনকারীরা পেটাল ঢাবি’র সহকারী প্রক্টরকে

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৬ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩১
 কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আবদুল মুহিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আবদুল মুহিত সেই এলাকায় গেলে তার ওপর চড়াও হয় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল দেখে তিনি দৌড় দিলে তাকে লক্ষ্য করে লাঠি-সোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে বেশ কয়েকজন। একপর্যায়ে তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন। উঠে দৌড় দিলে তাকে ধাওয়া দিয়ে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সোয়া ৪টায় শহীদ মিনার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় সহকারী প্রক্টরকে রক্ষা করতে গিয়ে হাতে কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য মোতাহার হোসেন।
পরে প্রক্টরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান আরেক সহকারী প্রক্টর মাইনুদ্দিন মোল্লা। সাংবাদিক মোতাহারকে নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে।
এর আগে বহিরাগতদের ক্যাম্পাস ছাড়তে মাইকিং করেন প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কোটা আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। তাদের হাতে নানারকম লাঠি ও পাইপ দেখা যায়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সহকারী প্রকটর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থী চড়াও হয় এবং ছুটাছুটি শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হন এবং মাইকে বলতে থাকেন কেউ ঢিল ছুড়বেন না, স্যাররা সামনে আছেন।
এসময় একদল শিক্ষার্থী তেড়ে এসে বলতে থাকতে ‘কালকে কোথায় ছিলেন’ এবং কেউ কেউ অকথ্য ভাষায় গালিও দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেয়। প্রক্টররা তখনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ফুটপাতে অবস্থান করেন। সেখানেও শিক্ষার্থীরা ‘দালাল’, ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে সম্বোধন করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে হামলা করে আন্দোলনকারীরা। এসময় ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে নিলে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়। কেউ কেউ লাঠি ছুড়ে মারে। এসময় দৌড়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন অধ্যাপক মুহিত। এসময় পেছন থেকে দৌড়ে এসে কয়েকবার লাঠি ও বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয় তাকে। এতে তিনি ফুটপাতে লুটিয়ে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যায়। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।