বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, বাংলাদেশে রাজাকারদের আস্ফালন শুধু ছাত্রলীগ নয়, বাংলাদেশের কেউই মেনে নেবে না। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে, হামলা করা হয়েছে। গতকাল এই নৈরাজ্যকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দলে দলে বের হয়ে প্রতিরোধ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থেকে বিভিন্ন মানুষজন এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের রক্ষা করেছে।
আমরা কোনও ধরনের সংঘাতে যেতে চাই না, সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। বাংলাদেশের সুন্দর অগ্রযাত্রা বজায় থাকুক। এই বাংলাদেশে যারা শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করতে চায় তাদের আমরা সতর্ক করতে চাই। অশান্তির কার্যক্রম বাংলাদেশ তথা তরুণ সমাজ মেনে নেবে না। যেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হবে, মানুষের জানমালের ওপর হামলা করা হবে, সেখানে সাধারণ মানুষের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে, বলেন তিনি।
ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, যেকোনও বিষয় আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিকভাবে সমাধান করা সম্ভব। তবে এর মানে এই নয় যে দেশবিরোধী কোনও অপশক্তি, দেশবিরোধী কোনও চক্রান্তে এদেশের মূল ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বিচ্যুত করবেন।
গতকাল হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত এবং তারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে এরকম ছবি তাদের নাম সহ গণমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি এধরনের কার্যক্রম দেখতে পাই তাহলে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। তবে একপাক্ষিকভাবে বলার কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাত জন নেতাকর্মী গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এগুলো কারা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে পারে না। তাহলে এরা কারা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কী? তারা কী উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন?
আমরা জানি দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার জন্য। এই লাশ কারা খেলতে চায় এটার গভীরে আমাদের যেতে হবে। আমরা গতকাল দেখেছি সন্ত্রাসীরা অস্ত্র এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ছাত্ররা তাদের রাজপথে নেমে প্রতিরোধ করতে চাইলে তারা ছাত্রদের ওপর অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ করতে চাই, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।