ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকর অবস্থান থেকে সরে গেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে তারা ভিসি চত্বরের দিকে যাচ্ছে।
ছাত্রলীগ আগের মতোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে অবস্থান ধরে রেখেছে। কেউ যাতে ফৌজদারি কোনো অপরাধ না ঘটাতে পারে, সে লক্ষ্যে পুলিশও ঢাবিতে অবস্থান নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে এ চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ হলের সামনে থেকে নিজেদের অবস্থান ছেড়ে ভিসি চত্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মূলত, পুলিশ ঢাবিতে ঢোকার পর থেকে তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে যেতে শুরু করে।
সন্ধ্যার পর থেকে তাদের আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ছাত্রলীগকেও টিএসসিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে তাদের কাউকে অন্যত্র যেতে দেখা যায়নি।
ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশুক মুনির চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। সন্ধ্যায় সদস্যরা সেখান থেকে সরে গেলেও নিজেদের কড়া অবস্থান ধরে রেখেছে।
এ ব্যাপারে কথা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মেহেদি হাসান বলেন, বহিরাগত বা কেউ যাতে ফৌজদারি অপরাধ না করতে পারে এ জন্য আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। আমাদের উপস্থিতিতে কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন যেভাবে সহযোগিতা চাইবে আমরা সেটা করতে প্রস্তুত।
সোমবার এক যুবকের পিস্তল হাতে ছবি প্রকাশ হওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে মেহেদি বলেন, আমাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট আছে, এটি তারা দেখবে। পুরো ঢাকায় জননিরাপত্তা দিতে আমরা সচেষ্ট।
শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ হল থেকে ভিসি চত্বরের দিকে সরে গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, আমরা কোনো পক্ষ নই, বরং রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি না ঘটে সে জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক আমরা এসেছি।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার থেকে এগিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছিলেন টিএসসিতে। দুই পক্ষের মধ্যে মিশুক মুনির চত্বরে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাতে লাঠি নিয়ে নানা আওয়াজ করছিলেন। তবে ছাত্রলীগকে তেমন উত্তেজনায় থাকতে দেখা যায়নি।