নিউইয়র্ক সিটির এমটিএ-তে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী বিভিন্ন পদে কর্মরত। সিটির ট্রানজিট বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান এনওয়াইসি এমপ্লয়িজ’। সংগঠনের সদস্যদের মধ্যকার পারষ্পারিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি জোরদারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বিনোদনের জন্য শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উডসাইডের জয়া পার্টি হলে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয় বার্ষিক রি-ইউনিয়ন। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটির এমটিএ’র শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ সংশ্লিস্টদের সপরিবারে অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থল। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো শুভেচ্ছা বিনিময়, আড্ডা, বিনোদন আর নৈশভোজ ছিলো অনুষ্ঠানের কর্মকান্ড।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে এনওয়াইসিটি’র টিডব্লিউইউ লোকাল ১০০ ইউনিয়ন-এর প্রেসিডেন্ট জন ভি চিয়ারেললো এবং এটিইউ লোকাল ১০৫৬-এর প্রেসিডেন্ট/বিজনেস এজেন্ট লুইস এফ আলজাট সহ টিডব্লিউইউ লোকাল ১০০ ইউনিয়ন-এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কার্লস বার্নাবেল, শিরলী মার্টিন, আলেক্সজেন্ডার কেম্প, ট্রামেল থমপসন ও রবার্ট কেলী। এছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মূলধারার রাজনীতিক এটর্নী মঈন চৌধুরী, পার্কচেষ্টার ব্রঙ্কস রিয়েলটি ইনক ও পার্কচেষ্টার প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট ইনক’র অন্যতম কর্ণধার সালেহ উদ্দিন সাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গ্রীন মেকানিক্যাল ইয়ংকার্স-এর সিইও তোফায়েল চৌধুরী প্রমুখ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান এনওয়াইসি এমপ্লয়িজ’ ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী সাদেক অঅহমেদ, সাঈপুর রহমান, রোকশানা বেগম, আহনাফ আলম, জুবায়ের আহমেদ, মোহাম্মদ সামাদ মিয়া সহ তারেক আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির উপদেষ্টারা ছিলেন যথাক্রমে ফরহাদুল ইসলাম, জামাল আহমেদ, মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ, মোহাম্মদ হাসেন, মোহাম্মদ একলাসুর রহমান, অমল দে, আকতারুজ্জামান খান, তারেক আহমেদ, সাঈদ আহমেদ হক, সাইম মুন্তাকিম, মোহাম্মেদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ মনসুর।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তারা এমটিএ-তে কর্মরত বাংলাদেশীদের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে বাংলাদেশী-আমেরিকানরাই এমটিএ-তে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, শুধু এমটিএ নয়, সিটির বিভিন্ন বিভাগে বাংলাদেশীরা আরো এগিয়ে যাবেন। তারা নিজ নিজ যোগ্যতা বলে প্রশাসনের শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত হবেন- এমন প্রত্যাশা প্রবাসী বাংলাদেশীদের। এছাড়াও বিগত বছরগুলোর মতো এবারের রি-ইউনিয়ন সফল হওয়ায় আগামীতেও এমন অনুষ্ঠান আয়োজন অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন আয়োজকরা।
বিনোদন পর্বে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্প ও এমটিএ পরিবারের সদস্যরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। নৈশভোজের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে অনুষ্ঠানের।