২০ বছর আগে আদালতের ডিপোর্টেশন অর্ডার অবজ্ঞা

নিউইয়র্কে এক বাংলাদেশিকে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ মে ২০২৫, ২৩:৩৮

২০ বছর আগে আদালত থেকে ডিপোর্টেশন অর্ডার হয়েছে। কিন্তু আদালতের আদেশ অবজ্ঞা করে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে থেকে যাওয়ায় নিউইয়র্কে প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। আগামী এক মাসের  মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করলে তার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। এ ঘটনাটি নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 
ওই বাংলাদেশির (৫৫) পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক। ফেডারেল সরকারের জরিমানার চিঠি পেয়ে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। নিরূপায় হয়ে তিনি অ্যাটর্নির দ্বারস্থ হয়েছেন। 
ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ঠিকানাকে জানান, প্রাইভেসি বজায় রাখার স্বার্থে ভুক্তভোগী বাংলাদেশির পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। গত মাসে চিঠি পাওয়ার পর ওই ভুক্তভোগী করণীয় জানতে তার সঙ্গে পরামর্শের জন্য এসেছিলেন। 
মঈন চৌধুরী জানান, এর আগে বহু হিস্প্যানিক এ ধরনের চিঠি পেয়েছেন। এবার পেলেন একজন বাংলাদেশি। তবে এ ধরনের চিঠি এখন অনেকেই পেতে পারেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনে ডিপোর্টেশন অর্ডার পাওয়া ব্যক্তিদের এ ধরনের জরিমানা করা হচ্ছে। আইনটি ১৯৫২ সালের এবং ১৯৯৬ সালে আইনটি সংস্কার করা হয়েছিল। 
মঈন চৌধুরী জানান, সাধারণত অ্যাসাইলাম কেইস আদালতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ফাইনাল ডিপোর্টেশন অর্ডার হয়ে থাকে। কেউ যদি ফাইনাল ডিপোর্টেশন আদেশের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করে তাহলে তাকে ইমিগ্রেশন ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের (আইএনএ) ধারায় প্রতিদিন জরিমানা করার বিধান রয়েছে। জরিমানার চিঠি পাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ২০০৫ সালে আতালত কর্তৃক ফাইনাল ডিপোর্টেশন অর্ডার পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এরপর যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান। ফলে এই আইনে গত ২০ বছরে তাকে ১ দশমিক ৮২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত প্রতিদিন এই অংক বাড়তে থাকবে। 
তিনি জানান, ডিপোর্টেশনের অর্ডার পাওয়ার পর অনেকে পরিবার রেখে কোথায় যাবেন, কি করবেন তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এভাবেই কেটে যায় বছরের পর বছর। আগে এই আইনটি বলবৎ ছিল। কিন্তু কার্যকর ছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এই আইনের প্রয়োগ করছে। 
অ্যাটর্নি মঈন জানান, কেউ যদি জরিমানার চিঠি পান তাহলে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে। ইমিগ্রেশন সদয় হলে এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। এজন্য দেরী না করে অ্যাটর্নির সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।