দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাসহ ১২ জন রিমান্ডে

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৫:২৫

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) ৫ কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড আদেশে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯ জন পুরুষ এবং তিনজন নারী রয়েছেন। তাদের ৩ ও ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
হারিয়ান মেট্রো ও মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ আগস্ট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ক্লাং উপত্যকা, পেনাং এবং কেলান্টানের চারপাশে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) অপ পাম্প অপারেশনের নামে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের ২১ আগস্ট সকালে পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (এমএসিসি) আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট নাদিয়া আবদ রাজাক। এমএসিসি আইন ২০০৯ এর ধারা ১৬(এ)(বি) এবং ১৬(বি)(বি) অনুসারে পরিচালিত হয় এবং তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশিদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
তিনি যোগ করেছেন, অভিবাসন বিভাগ দেশের প্রবেশদ্বারে বা সারাদেশের যে কোনো ইমিগ্রেশন অফিসে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তার সাথে আপস করবে না এবং রক্ষাও করবে না। অপরাধী কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হলে বরখাস্তসহ বিদ্যমান আইনের বিধানের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা এবং শাস্তি দেওয়া হবে।
বুধবার পরিচালক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের সততা সর্বদা সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, অভিবাসন বিভাগও অভিবাসন কর্মকর্তাদের অসদাচরণ যেমন দুর্ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার, শাস্তিমূলক অপরাধ এবং দুর্নীতির বিষয়ে ০৩-৮৮৮০ ১২৪৬ নম্বরে কল করে বা [email protected] ইমেল করে অভিযোগ করতে জনসাধারণকে স্বাগত জানায়।