আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর প্রবাসি বাংলাদেশি, স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতে মুখরিত হয়ে উঠে উৎসবের প্রাঙ্গণ-ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনটি। পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিভিন্ন আলপনা ও রঙে সাজিয়ে তোলা হয় উৎসব প্রাঙ্গন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবারের সমন্বয়ে স্থাপন করা হয় বেশ কয়েকটি স্টল।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের হাজার বছরের গৌরবময় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে পহেলা বৈশাখ। এটা আমাদের প্রাণের উৎসব। আমাদের সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান দেয় বাংলা নববর্ষ। ফেলে আসা বছরের সুখ-দুঃখ ভুলে মানুষ নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। এ দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে মিলে উৎসবে মেতে উঠে। এই উৎসব দেশ ও দেশের মানুষকে সারা বিশ্বে তুলে ধরে। তাই জাতীয় জীবনে এ দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম’।
এই দিবসের শিক্ষা নিয়ে সকল অশুভ ও অসুন্দরকে জয় করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশুদের যৌথ অংশগ্রহণে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করা হয়। প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও একক সঙ্গীতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে দিবসটির প্রাঙ্গণ। দেশীয় খেলাধুলায় শিশু-বৃদ্ধ সবার জন্য আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের বিনোদন উৎসব। শেষে উপস্থিত সকলকে দেশীয় বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।