নিউইয়র্ক থেকে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে অনেকে এখনই দেশে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাই তারা পরিস্থিতি বুঝে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাড়াহুড়ো না করে কিছুটা সময় নিচ্ছেন। তাই দেশে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেক প্রবাসী পরিস্থিতি দেখার অপেক্ষা করছেন। সূত্র জানায়, বিগত বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন অনেক প্রবাসী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানও করেছেন তারা। তাদের কেউ কেউ দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও আপাতত যাচ্ছেন না। বিশেষ করে, যারা নির্যাতিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, তারা দেশে যাচ্ছেন না। কারণ যারা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, তাদের অনেকেরই আবেদন প্রক্রিয়াধীন। যাদের আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে, তারা চাইলেও এখন দেশে যেতে পারবেন না। দেশে ফিরে গেলে তাদের আবেদন আর প্রক্রিয়াধীন থাকবে না। এতে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, তাদের কেস অনুমোদন হয়েছে। সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড ও ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন। এখানে কাজও করছেন। কিন্তু এখনো গ্রিনকার্ড হাতে পাননি। যারা এই অবস্থায় আছেন, তারা চাইছেন গ্রিনকার্ড পাওয়ার পর দেশে যেতে। ইমিগ্রেশন বিষয়ে কাজ করেন, এমন একাধিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, যখন কোনো ব্যক্তি তার দেশে নিরাপদ নন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে আবেদন করেন, এ অবস্থায় তিনি দেশে গেলে তার কেসের ম্যারিট নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে গ্রিনকার্ড পাওয়ার পরও যদি তিনি দেশে যান এবং নিরাপদে ফিরে আসেন, তখন ধরে নেওয়া হয় তিনি তার দেশে নিরাপদ। এ কারণে কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পর যখন গ্রিনকার্ড পান ও নাগরিক হওয়ার আগে তার দেশে যান এবং সেখান থেকে নিরাপদে ফিরে আসেন, তখন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে গ্রিনকার্ড পেয়েছেন, তারা এখনই তড়িঘড়ি করে দেশে গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবেন না। কারণ একবার তারা দেশে গিয়ে যদি নিরাপদে ফিরে আসেন, তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে দেশে তার নিরাপত্তাহীনতা নেই।