শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় বেশিরভাগ মানুষই খাওয়া-দাওয়া আর শরীরচর্চার প্রতি উদাসহীন থাকেন। তাই এ মৌসুমে ডায়াবেটিকদের সাবধানে থাকা জরুরি।
তাই এ সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ম মেনে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা করাও জরুরি। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, ডায়াবেটিসের মাত্রা যাতে বিপদসীমা না পেরিয়ে যায়, তার জন্য খাওয়াদাওয়ায় রুটিন মেনে চলা জরুরি।
বিশেষ করে শীতকালে যাতে কোনও বাড়াবাড়ি না হয় তা নিশ্চিত করতে কোন খাবারগুলো বেশি করে খাবেন জেনে নিন-
গাজর
কাঁচা খাওয়া ছাড়াও গাজর রান্না করেও খেতে পারেন। গাজরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া গাজরে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যা চোখের তীক্ষ্ণতা বাড়াতে ও ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকিও কমাতে অবদান রাখে।
কমলালেবু
কমলালেবু একটি সাইট্রাস ফল। এতে পটাসিয়াম, ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকে। যেহেতু এর গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে না।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য, ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। গবেষণা অনুসারে, টাইপ-২ ডায়াবেটিক ব্যক্তিদের মধ্যে যারা প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খান তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে।
সবুজ শাকসবজি
শীতে শরীরের যত্ন নেয় সবুজ শাকসবজি। ডায়াবেটিস রোগীদের সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সবজিতে থাতে মিনারেলস, ভিটামিন, ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে।
বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের শস্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আখরোট, কাঠবাদাম ও চিয়া বীজে আছে অনেক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন।
মসলা
কিছু মসলা আছে যা ডায়াবেটিকদের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। যেমন- দারুচিনি ও হলুদ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত।
এগুলোতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা প্রদাহজনিত যে কোনো সমস্যা সমাধান করে। একই সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও এই মসলাগুলো দারুণ কার্যকরী।