ভুয়া নিউরো মেডিসিনের অধ্যাপকের ২ বছর কারাদণ্ড

নোয়াখালী সংবাদদাতা
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২০

 নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ল্যাব এইড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে হাবিবুর রহমান (ছদ্ম নাম রাকিব আহসান) নামে নিউরো মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক পরিচয়ে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত  হাবিবুর রহমান (৪৭) রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার বাওনারা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার আলীপুর চৌমুহনী-মাইজদী প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত ল্যাব এইড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়।
র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান আরও জানান, ভুয়া ডাক্তার রাকিব আহসান নামে নিজেকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক এ জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণাপূর্বক রোগী দেখার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এমন খবরের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আসিফ আল জিনাতসহ ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক নোয়াখালী শাখায় অভিযান চালায়।  
পরে একই দিন বিকেলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অপরাধে হাবিবুর রহমানকে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  
জানা যায়, আটক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডা. রাকিব আহসান ও ডা. মো. রাকিব হাসান শুভ পরিচয় দিলেও তার প্রকৃত নাম হাবিবুর রহমান। আটক আসামি নিজেকে এমবিবিএস ও নিউরো মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মেডিল্যাব জেনারেল হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ, আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঈশ্বরদী, পাবনা, কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বরগুনা, ভোলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভোলা, কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক ল্যাব, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণাপূর্বক রোগী দেখার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসময় অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল।