ব্রণের চিকিৎসা সামগ্রীতে উচ্চমাত্রার ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক বেনজিন শনাক্তের তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায়।
বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এস্টি লডার ক্লিনিক, টার্গেটস আপ অ্যান্ড আপ ও রেকিট বেনকিজারের মালিকানাধীন ক্লিয়ারসিলসহ একাধিক ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রীতে বেনজিনের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যালিসার।
কানেকটিকাট-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ কারণে বাজার থেকে এসব পণ্যসামগ্রী সরানোসহ এ বিষয়ে তদন্ত ও শিল্প নির্দেশিকা সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে একটি পিটিশনও দাখিল করেছে তারা।
ভ্যালিসার বলছে, এ ঘটনার পর এস্টি লডারের শেয়ার দুই শতাংশ কমে গেছে। প্রোঅ্যাক্টিভ, প্যানঅক্সিল, ওয়ালগ্রিনসের একনি সোপ বার ও ওয়ালমার্টের ইক্যুয়েট বিউটি একনি ক্রিমেও বেনজিন শনাক্ত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ও ওভার-দ্য-কাউন্টার বেনজয়াইল পারক্সাইড ব্রণ চিকিৎসা সামগ্রীতে ‘অগ্রহণযোগ্য উচ্চমাত্রার’ রাসায়নিক যৌগ বেনজিন উৎপন্ন হতে পারে। তবে ভ্যালিসারের পিটিশনের এখনো কোনো জবাব দেয়নি মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।
ইতোমধ্যে সানস্ক্রিন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ড্রাই শ্যাম্পুসহ বেশ কিছু পণ্যে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী এই উপাদান পাওয়ায় প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল এবং জনসন অ্যান্ড জনসনসহ বিখ্যাত কিছু কোম্পানির পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
তবে ভ্যালিসার জানায়, ব্রণ চিকিৎসা সামগ্রীতে বেনজিনের উপস্থিতির হার অন্যান্য পণ্যের চেয়ে ‘একেবারেই আলাদা’।