পহেলগামে হামলার পর চলমান অবস্থা ও জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার দিল্লির বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।
এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিফ অব স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানও উপস্থিত রয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকের পর রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যার নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীসহ পাঁচ সদস্যের সিসিএস সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
সিসিএস-এ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রয়েছেন।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। অপরদিকে ভারতের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর সীমান্ত বন্ধ করা, কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা, পাশাপাশি ছয় দশকের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করাসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটি তাদের আকাশসীমা এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে, যা ভারতের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করার ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়া পহেলগামে হামলার পর থেকে গত কয়েকদিনে নিয়ন্ত্রণরেখায় বেশ কয়েকবার দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এতে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের দায়িত্বশীল সমাধানের দিকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক এবং ২০০০ সালের পর থেকে ওই অঞ্চলে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলাগুলোর মধ্যে একটি। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
সূত্র: এনডিটিভি