শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমে যে খাবার খেলে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৩

কোলেস্টেরল আসলে একটি মোম জাতীয় পদার্থ। শরীরে ভালো (এইচডিএল) ও খারাপ (এলডিএল) দু’ধরনের কোলেস্টেরলই থাকে। ভালো কোলেস্টেরল শরীরের জন্য উপকারী হলেও খারাপটির কারণে রক্তনালিতে প্লেক জমতে শুরু করে। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে নানা ধরনের গুরুতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারণে অনিয়ম শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমনকি বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরে কোলেস্টেরল জমাতে সাহায্য করে। যেমন-

মাখন
হলুদরঙা আরও একটি খাবার হলো মাখন। পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে না খেলে অনেকের দিন শুরু হয় না।
দুগ্ধজাত এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলে যারা উচ্চ রক্তচাপে কিংবা কোলেস্টেরলে ভুগছেন তারা এই খাবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মাখনে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা বাড়াতে পারে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ।

চিজ
পিৎজা, পাস্তা, স্যান্ডউইচ থেকে শুরু করে হরেক রকম পদে চিজ না মেশালে তা যেন সুস্বাদু হয় না! চিজ দারুণ একটি খাবার। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। তবে কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য এই খাবার উপকারী নয়। চিজে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা এলডিএল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যারা এরই মধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরলে ভুগছেন তারা অবশ্যই হলুদরঙা স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত এই ৫ খাবার এড়িয়ে যাবেন।

ডিমের কুসুম
বিশেষজ্ঞের মতে, ডিম শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর কুসুম খেলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ে। এমনকি সবচেয়ে বেশি লিপিড থাকে এই খাবারে। একটি মাঝারি থেকে বড় মাপের কুসুমে থাকে প্রায় ২০০ এমজি কোলেস্টেরল। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলে এরই মধ্যে ভুগছেন তারা সপ্তাহে একটির বেশি আস্ত ডিম খাবেন না। তবে ডিমের সাদা অংশটুকু দৈনিক খেতে পারেন।

ঘি
ঘি’র স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ভাত-ভর্তাসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে ঘি না মেশালে অনেকেরই খাবার হজম হয় না। তবে জানলে অবাক হবেন, এই খাবারে অনেক গুণ থাকলেও মনে রাখতে হবে এটি অত্যধিক ক্যালোরিযুক্ত। এমনকি এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও বেশি থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরল আরও বাড়ায় রক্তনালিতে।

ভাজা খাবার
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, বাইরের মুখোরোচক বেশিরভাগ ভাজাপোড়া খাবারের রং কিন্তু হলুদ। এসব খাবার খাওয়ার আগে দু’বার ভাবুন। ভাজা খাবার শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেকটা বাড়াতে পারে। সয়াবিন তেলের বদলে সরিষার তেল খেতে পারেন। এই তেল কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।