দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি পান করেন অনেকেই। কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা নেহাত কম নয়। সম্প্রতি কফির গুণ নিয়ে নতুন এক গবেষণা রিপোর্ট সামনে এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, কফি একটি আয়ুবর্ধক পানীয়।
ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়া ও ইউনিভার্সিটি এফ পর্তুগালের একটি গবেষণায় নতুন এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি ‘এজিং রিসার্চ রিভিউ’তে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কফির বেশ কিছু গুণাগুণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এর আয়ুবর্ধক শক্তি ও মানুষকে সুস্থ রাখার ক্ষমতা।
আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়ার মতো দেশ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৫ জনের উপর তৈরি রিপোর্ট নিয়ে গবেষণা চালিয়েই এমন দাবি করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, দিনে তিন কাপ কফি পানে অতিরিক্ত ১.৮৪ বছর আয়ু বাড়ে। এমনকি গুরুতর ও জটিল রোগ থেকেও মুক্ত থাকা যায়।
নিউরো সায়েন্টিস্ট রডরিগো কুনহা এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। বার্ধক্যের উপর কফির প্রভাবও খতিয়ে দেখেন তিনি। রডরিগো জানান, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। জীবনের সবক্ষেত্রেই তার প্রভাব পড়ে। তবে পরিমাণমতো কফি পানের অভ্যাস থাকলে, সেগুলো সহজেই ঠেকানো যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাসী এখন বেশি বার্ধক্যের দিকে ঝুঁকছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিনের ডায়েটে কফি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে শুধু আয়ুই বাড়বে না, সুস্থভাবে বাঁচা সম্ভব হবে। তবে এই কফি পান অত্যধিক যেন না হয়, তা নিয়েও সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে ২-৩ কাপের বেশি কফি পান করা উচিত নয়। পরিমিত কফি পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক, কিছু ধরনের ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া ও বিষণ্নতা থেকেও মুক্তি মেলে।